Delhi hit and run

দিল্লির সেই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবীও, ভয়ে পালিয়ে যান তিনি, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ২০ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। গাড়ির সঙ্গে স্কুটির সংঘর্ষ ঘটার পরে ভয়ের চোটে তিনি পালিয়ে যান বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৬
Share:

মঙ্গলপুরী এসজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ফাইল চিত্র।

দিল্লির খানজাওয়ালা এলাকার দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশবাসী। সম্প্রতি এই ঘটনার পুলিশি তদন্তে প্রকাশ্যে এল আরও এক নয়া তথ্য। নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ২০ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। গাড়ির সঙ্গে স্কুটির সংঘর্ষ ঘটার পরে ভয়ের চোটে তিনি পালিয়ে যান। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি জানান, কী ভাবে পথ দুর্ঘটনা হয়। তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার শালিনী সিংহকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নর্থ ব্লক সূত্রের খবর, দ্রুত তদন্ত শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।

Advertisement

মঙ্গলবার মৃতা তরুণীর বান্ধবীর বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। বয়ান দিতে গিয়ে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার রাতে দুই বান্ধবী এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্কুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ফেরার পথেই গাড়ির সঙ্গে স্কুটির ধাক্কা লাগে। স্কুটি থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর শরীরে আঘাত লাগে। তবে তাঁর বান্ধবীর দেহ গাড়ির চাকায় আটকে যায়। ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

পুলি‌শ ওই মহিলার বয়ান খতিয়েও দেখেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি হোটেলে কয়েক জন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকি বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার ঠিক আগে তরুণীটিকে স্কুটি চালাতে দেখা গিয়েছে। তদন্তের খুঁটিনাটি মৃতার পরিবারকে জানাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ বছরের এক তরুণী। গাড়ির সঙ্গে তাঁর স্কুটির সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে তরুণীর পোশাক গাড়ির চাকায় আটকে যায়। এই অবস্থাতেই ছুটতে থাকে গাড়িটি। যার জেরে গাড়ির চাকায় আটকে যান তরুণী। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে প্রায় ১৩ কিমি পর্যন্ত যায় গাড়িটি। দিল্লির খানজাওয়ালা এলাকায় গিয়ে থামে গাড়িটি। বিবস্ত্র অবস্থায় পরে রাস্তায় তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলপুরী এসজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তদন্তে নেমে ঘাতক গাড়িতে থাকা চালক ও আরোহীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্তরা দাবি করেছেন যে, তাঁরা ‘জানতেনই না’ যে, গাড়ির চাকায় আটকে ছিলেন তরুণী।

পুলিশ সূত্রে খবর, পরে অভিযুক্তরা ‘বুঝতে পারেন’ যে গাড়ির চাকায় কিছু একটা আটকে রয়েছে। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা যাওয়ার পর তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে দেখেন চাকায় আটকে রয়েছেন এক তরুণী। এর পর চাকা থেকে তরুণীর দেহ সরিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। অভিযুক্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ওই নমুনা পাঠানো হয়েছে। তরুণীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন