সর্বানন্দ সোনোয়াল ও তরুণ গগৈ
গন্ডার শিকার নিয়ে গগৈ সরকারকে বার বার কাঠগড়ায় তুলেছে তৎকালীন বিরোধী বিজেপি-অগপ শিবির। এ বার সুযোগ বুঝে সর্বানন্দ সোনোয়ালের সরকারকে নিশানা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।
বিজেপি-অগপ-বিপিএফ জোট সরকারের এক মাসের শাসনকালে কাজিরাঙায় দু’টি গন্ডার মারা হয়েছে। বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্মর প্রথম কাজিরাঙা সফরের সময়ই অগরাতলি রেঞ্জে গন্ডারের চোরাশিকার করা হয়। উদ্যান অধিকর্তাকে সাসপেন্ড, রেঞ্জারকে বদলি করেন প্রমীলারানি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বাগরি রেঞ্জে ফের গন্ডার শিকার করা হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে সর্বা সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তরুণ গগৈ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন— ‘‘বিজেপি অতীতে আমাদের সমালোচনা করে বলেছিল, ক্ষমতায় এলে গন্ডার শিকার বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তাঁরা এ বার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারছে না কেন?’’ সম্প্রতি কাজিরাঙা সফরের পরে বনমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জাতীয় উদ্যানের জমিতে কোনও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নেই। তারও উল্লেখ করে গগৈ বলেন, ‘‘আমরা যখন এ কথা বলেছিলাম, তখন ওই নেতারাই তার বিরোধিতা করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, কাজিরাঙা বাংলাদেশিতে ভর্তি। এখন তাঁরা উল্টো কথা বলছেন। এক দিন হয়তো বলেছেন গোটা অসমেই কোনও বাংলাদেশি নেই!’’
কাজিরাঙায় চোরাশিকারের সঙ্গে বনকর্তা, বনকর্মীদের যোগসাজসের ঘটনা সামনে এসেছে। তাতে হতাশ বনমন্ত্রী প্রমীলারানি। তিনি বলেন, ‘‘শিকারি আর বন দফতরের আঁতাঁত না ভাঙতে পারলে গন্ডার শিকার বন্ধ করা যাবে না।’’ কাজিরাঙায় গন্ডার শিকারের খবর গোপন করায় অধিকর্তা এম আলিকে সাসপেন্ড করেছিলেন প্রমীলারানি। কিন্তু তাতেও যে বন দফতরের কর্মসংস্কৃতি বদলায়নি, তা মেনে নেন প্রমীলারানি। তিনি জানান, কাজিরাঙার কর্মীদের তালিকা ১০ দিন আগে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তা এখনও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কার্বি আংলং, নগাঁও, শোণিতপুর, গোলাঘাট ও বিশ্বনাথ জেলার এসপি, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সকলকে নির্দেশ দেন, বনকর্তা ও বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচ জেলায় শিকারি ধরতে যৌথ অভিযান চালানো হবে। বিশেষ করে কাজিরাঙায় ঢোকার ও খড়্গ নিয়ে পালানোর দু'টি রাস্তা কার্বি আংলং ও বিশ্বনাথকে সতর্ক করেন সোনোয়াল।