Child Pornography

ইন্টারনেট থেকে পর্ন ভিডিয়ো সরাতে কেন্দ্রের পাশে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক

ইন্টারনেট থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু মুছে দিতে টেক সংস্থাগুলির কাছে বিভিন্ন নজরদারি প্রযুক্তি বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৪
Share:

গ্রাফিত- শৌভিক দেবনাথ।

ইন্টারনেট থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, ধর্ষণের ভিডিয়ো এবং অন্যান্য আপত্তিকর তথ্য ও ভিডিয়ো সরাতে কেন্দ্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ। ইন্টারনেট থেকে এই ধরণের আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরাতে কেন্দ্রের তরফে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন টেক সংস্থার প্রতিক্রিয়াও পৌঁছেছে কেন্দ্রের কাছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথা জানাল বিচারপতি এম বি লোকুর এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

ইন্টারনেট থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু মুছে দিতে টেক সংস্থাগুলির কাছে বিভিন্ন নজরদারি প্রযুক্তি বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। এই ব্যবস্থায় ইন্টারনেট থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু নিজে থেকেই মুছে ফেলা সম্ভব। যদিও কেন্দ্রের এই পরামর্শে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া মিলেছে টেক সংস্থাগুলির কাছ থেকে। গুগল এবং ইউটিউব যে জবাব দিয়েছে তার থেকে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের বক্তব্য। কেন্দ্রের প্রস্তাব পাওয়ার পরই টেক সংস্থাগুলি তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

বিভিন্ন সংস্থার প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর তৈরি হবে খসড়া বিধি। এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই খসড়া আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর সেই খসড়া বিভিন্ন মহলে পাঠাবে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও শুনানির সময় হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ‘‘বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত মেসেজ আগাগোড়া গোপনীয় থাকে। ইউজার বা ব্যবহারকারী ছাড়া সেই তথ্য কেউ দেখতে পান না। তাই কোনও নির্দিষ্ট মেসেজ পড়া বা মুছে ফেলা সম্ভব নয় প্রযুক্তিগত কারণেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বুলন্দশহর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জওয়ান? ভিডিয়ো ফুটেজে চাঞ্চল্য

২০১৫ সালে হায়দরাবাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতেই ইন্টারনেট থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে বাধ্য হল মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সংস্থা।

আরও পড়ুন: কোন পরিবারকে ঘুষ দেওয়া হয় অগুস্তা কাণ্ডে? নতুন নথি নিয়ে তোলপাড়

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন