রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপাল গাঁধীর নাম নিয়েও চর্চা

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জনতা পরিবারের দলগুলির তরফে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০৩:৫৯
Share:

গোপালকৃষ্ণ গাঁধী

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জনতা পরিবারের দলগুলির তরফে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

Advertisement

তবে এখনও এ বিষয়ে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। গোপালকৃষ্ণের সঙ্গে যে এ নিয়ে কথা হয়েছে, তা-ও নয়। কিন্তু যে সব নাম নিয়ে আলোচনা চলছে, তার মধ্যে মহাত্মা গাঁধীর পৌত্রের নামও রয়েছে।

কংগ্রেস, বাম ও জেডি(ইউ)-র মতো দলগুলির নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি তথা এনডিএ যদি মোহন ভাগবতের মতো কট্টর হিন্দু-মুখকে প্রার্থী করে, তা হলে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী জোটের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা সহজ হবে। কারণ এনডিএ-র কিছু দলের পাশাপাশি এডিএমকে, বিজু জনতা দলকেও সে ক্ষেত্রে পাশে টানা যাবে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর মতো কাউকে এনডিএ প্রার্থী করা হলে মুশকিল। এ কথা ঠিক যে, দ্রৌপদী আদতে বিজেপি-নেত্রী, ওড়িশায় দলের বিধায়ক ছিলেন এবং ময়ূরভঞ্জ জেলায় দলের সভানেত্রীও ছিলেন। কিন্তু তিনি একে মহিলা, তায় আদিবাসী বলে অনেকেই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে তাঁর বিরোধিতা করতে চাইবেন না। সে ক্ষেত্রে এমন একজনকে বিরোধী জোটের প্রার্থী করতে হবে, যাঁর নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচিতি থাকবে না, কিন্তু রাষ্ট্রপতি পদের যোগ্য বলে সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবেন। সে ক্ষেত্রে এডিএমকে, বিজু জনতা দল, আপ-এর মতো কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব রেখে চলা দলগুলিকেও বিরোধী জোটে টানা যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন:তিক্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মুখ্যমন্ত্রীর চিন সফরে না করে দিল কেন্দ্র

এই মাপকাঠিতেই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ মানানসই বলে কেউ কেউ মনে করছেন। মহাত্মা গাঁধীর ছেলে দেবদাসের পুত্র গোপালকৃষ্ণ প্রাক্তন আইএএস অফিসার। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, নরেন্দ্র মোদী চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ উদযাপন করে মহাত্মা গাঁধীকে প্রায় ‘হাইজ্যাক’ করে ফেলতে চাইছেন। সেখানে তাঁর পরিবারের কারও বিরোধিতা করা বিজেপির পক্ষেও মুশকিল হবে। পাশাপাশি কংগ্রেসই যে আসলে গাঁধীর ধর্মনিরপেক্ষতার পথে চলে, বিজেপি নয়, সেই বার্তাও দেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে শরদ পওয়ার ও শরদ যাদবের নাম বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছে। বিরোধী নেতারা বলছেন, এঁদের নাম বাদ পড়ে গিয়েছে এমন নয়। কোনও নামই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সব দলকে একজোট করতে সনিয়া গাঁধী নিজেই বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। কিছু দিন আগে প্রয়াত সমাজবাদী নেতা মধু লিমায়ের ৯৫-তম জন্মবার্ষিকীতে কংগ্রেস, বাম, এনসিপি ও জনতা পরিবারের দলগুলির নেতারা একজোট হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই যুক্তি দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পদে ধর্মনিরপেক্ষ কোনও ব্যক্তিকে জিতিয়ে আনা জরুরি। এ বার ৩ জুন ডিএমকে-সুপ্রিমো করুণানিধির ৯৪-তম জন্মদিনেও বিরোধী দলের নেতারা একজোট হচ্ছেন। করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি শনিবার দিল্লিতে পৌঁছে সব দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এ দিন তিনি সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে চেন্নাইয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন