ফাইল চিত্র।
কোনও প্রশ্ন নয়, কোনও বিতর্ক নয়, সব আলোচনা গিলোটিনে চাপিয়ে অর্থবিল পাশ করিয়ে নিতে চেয়েছিল সরকার। ‘সমান্তরাল’ সংসদ চালানোর হুমকি দিয়ে তা ভেস্তে দিল বিরোধীরা।
বাজেট অধিবেশনের দ্বতীয় দফায় এক দিনও চলেনি সংসদ। অধিবেশন শুরু হতেই প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে চলে আসেন তেলুগু দেশম, এডিএমকের সাংসদেরা। যার জেরে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধীরা এখনও নীরব মোদী নিয়ে আলোচনাই করতে পারেনি। হাঙ্গামায় রোজই মুলতুবি হচ্ছে সংসদ। আর এর মধ্যেই আচমকা আজ বিকেল ৫টায় লোকসভায় ‘গিলোটিন’ নিয়ে আসে সরকার। যার অর্থ, বাজেট বরাদ্দ নিয়ে সব আলোচনা ৫টায় শেষ করে পাশ করাতে হবে অর্থবিল। বিল পাশের পরে বাজেট অধিবেশনে ইতি টানার আলোচনাও চলছে। কিন্তু বিরোধীরা একজোট হয়ে ভেস্তে দেয় সে চেষ্টা। স্পিকার আজও লোকসভা মুলতুবি করে দেন গোটা দিনের জন্য।
গিলোটিনের বিরোধিতা করে বিরোধীরা আজ স্থির করে, সরকার একতরফা গা-জোয়ারি করলে ‘সমান্তরাল’ সংসদ চালাবে তারা। এর পরেই গিলোটিন থাকা সত্ত্বেও সংসদ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার অবশ্য বলেন, ‘‘সাংসদদের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল অর্থবিল পাশ হতে দেওয়া হবে। সনিয়া ও রাহুল গাঁধীরা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন বলেই সংসদ অচল রাখছেন।’’ তবে কথায় কথায় অনন্ত কুমার স্বীকার করেই নেন, কংগ্রেস হট্টগোল বন্ধ করলে টিডিপি, এডিএমকের মতো দলও বিক্ষোভ বন্ধ করবে। বিরোধীরা বলছেন, এর মানে তো বন্ধু দলগুলিকে হাঙ্গামা করার জন্য লেলিয়ে দিচ্ছে সরকারই। যাতে নীরব-সহ সব বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে।
বিরোধীরা এ দিন স্পিকারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দিলেও তৃণমূল সঙ্গী হয়নি। তাদের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, স্মারকলিপিতে তিনি সই করেছেন। তবে যাওয়ার সময় কংগ্রেস ডাকেনি। যদিও কংগ্রেস বলছে, জানানো হয়েছিল। সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, ‘‘এনডিএর সম্ভাব্য শরিকেরা আপত্তি তুলছে না।’’ তবে এই বিতর্ক পাশে সরিয়ে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘সরকার চাইছে, নীরব মোদী বা অন্য কোনও কিছু নিয়েই যেন আলোচনা না হয়। আগে তো বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেন্ডও করেছেন স্পিকার। এনডিএ-র বন্ধু দলগুলিকে কেন রেয়াত করা হচ্ছে?’’