খরচের দেড় গুণ সহায়ক মূল্য চাষে

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, সহায়ক মূল্য বাড়ানোর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কৃষক যাতে তার সুফল সম্পূর্ণ ভোগ করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করা।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

কৃষককে শুধু ন্যায্য মূল্য নয়, উৎপাদন খরচের থেকে দেড় গুণ বেশি ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য’ দেবে মোদী সরকার। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের বর্তমান আয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ অঙ্কে নিয়ে যাওয়া হবে। তার জন্য মোদী সরকারের হাতে অস্ত্র একটাই— কম খরচে একই জমিতে উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকের হাতে বেশি দাম তুলে দেওয়া। শিল্পের আদলে জেলায় জেলায় কৃষি ভিত্তিক ক্লাস্টার গড়েও কৃষিক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করতে চায় কেন্দ্র।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, সহায়ক মূল্য বাড়ানোর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কৃষক যাতে তার সুফল সম্পূর্ণ ভোগ করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেছেন, কৃষি পণ্যের বাজারগুলিতে কোনও কারণে ফসলের দাম পড়ে গেলে, কেন্দ্র সহায়ক মূল্যে তা কিনে নেবে। কিংবা অন্য কোনও পদ্ধতিতে কৃষকের কাছে তার প্রাপ্য দাম চুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কম দামে কৃষক ফসল বিক্রি করলেও সরকারের দায়িত্ব থাকবে তার হাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়া।

তবে পাঁচ বছরে কৃষকের আয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তবটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। কারণ বর্তমানে দেশের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি যে শ্লথ গতিতে চলছে, অর্থনীতির নিয়মে তা কার্যত অসম্ভব বলেই অনেকের মত। এমনকী কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষাতেও আয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গ নেই। সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের ফলে কালোবাজারির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী মহলের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, এতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এখন থেকেই ধান মজুত করতে পারে। তার জেরে বাড়তে পারে চালের দামও। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার আবার প্রশ্ন তুলেছেন, সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে কেনা খাদ্যশস্য মজুত করে রাখার মতো গুদামঘর কি কেন্দ্রের আছে?

Advertisement

ক্লাস্টারের (শিল্প-গুচ্ছ) ধারণাটি দেড়-দু’শক ধরে শিল্পক্ষেত্রেই পরিচিত। এই ‘মডেল’ কৃষিক্ষেত্রে আনলে সাফল্য মিলবে বলে কেন্দ্র মনে করছে। জেটলি জানান, যে কৃষি বা উদ্যানজাত পণ্যের জন্য যে অঞ্চলগুলি জনপ্রিয়, সেখানেই ক্লাস্টার গড়া প্রয়োজন। এর জন্য কৃষি মন্ত্রককে তিনি অন্য মন্ত্রককে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করার কথা বলেন। সেচের আওতায় আনা হচ্ছে দেশের ৯৬টি জেলাকে, যেখানে ৩০ শতাংশের কম জমি সেচের জল পায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন