মুম্বইয়ে রাস্তার ধারের আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধাকে। —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ের রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপ থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়েছিল মুমূর্ষু বৃদ্ধাকে। এত দিনে পুলিশের কাছে তাঁর নাতি স্বীকার করলেন, তিনিই ঠাম্মাকে রাস্তায় ফেলে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বৃদ্ধা হাসপাতালে।
গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের আরে কলোনিতে রাস্তার ধারের আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল যশোদা গায়কোয়াড়কে। ৬০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত। মানসিক কিছু সমস্যাও ছিল। আবর্জনার মধ্যে এক পাশে কোনও রকমে শুয়ে ছিলেন তিনি। দেখে স্থানীয়েরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃদ্ধা তাদের জানিয়েছিলেন, তিনি নাতির সঙ্গে থাকতেন। নাতি তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছেন। তবে বাড়ির ঠিকানা ঠিক মতো বলতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধা।
বৃদ্ধার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশ তাঁর পরিবারকে খুঁজে বার করে। পরিবারের সদস্যেরা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, মানসিক সমস্যা থাকায় বৃদ্ধা মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। সে দিনও তেমন ভাবেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে রাস্তার ধারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অন্য ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। পরিবারের বক্তব্যের সঙ্গে তা মেলেনি। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছিল, বৃদ্ধাকে নিয়ে তাঁর নাতি এবং আরও এক জন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে ভর্তি করানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর বৃদ্ধাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। মধ্যরাতে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ফেলে আসা হয় আবর্জনার স্তূপে।
বৃদ্ধার নাতি সাগর শেওয়ালে জানিয়েছেন, ঠাকুরমার ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসা তাঁরা করাতে পারছিলেন না। হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে তাঁকে নিয়ে রাস্তায় ফেলে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী অবহেলার মামলা রুজু করা হয়েছে। ২০০৭ সালের পিতামাতা ও বয়স্ক নাগরিকদের ভরণপোষণ আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। আপাতত বৃদ্ধাকে রাখা হয়েছে হাসপাতালে।