—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিয়ের মণ্ডপে হাসিখুশিই ছিলেন বর-কনে। কিন্তু সাতপাক ঘোরার সময়ে কাটল তাল। ছ’পাক ঘোরার সময় একটি ফোন এসেছিল বরের কাছে। মোবাইল কানে নিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। পুরোহিত তাকিয়ে আছেন। অপেক্ষায় কনে। ঠিক তখনই মণ্ডপ ছেড়ে নেমে গেলেন বর। আর সাতপাকে ঘোরা হয়নি। পাত্র জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে করবেন না!
প্রশ্ন, আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক— কোনও কিছুতেই বরফ গলেনি। কারও কথা কানে না তোলেননি পাত্র। তিনি জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করবেন না। কিন্তু কেন? পাত্রের জবাব, কারণ আছে। কিন্তু বলবেন না। এই নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় বিয়েবাড়িতে। পঞ্চায়েত থেকে পুলিশ, কারও মধ্যস্থতাতেই বরফ গলেনি। বিয়ে না করেই চলে যান পাত্র। অন্য দিকে পাত্রীপক্ষ দ্বারস্থ হয় পুলিশের। তাঁদের অভিযোগ, মেয়ের বিয়েতে পাত্রীর বাবা ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছেন। আর্থিক ক্ষতি থেকে সম্মানহানি, সবই হয়েছে পাত্রের জন্য। কিন্তু কী কারণে তিনি বিয়ে করলেন না, তার কারণ জানাননি। নাটকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করৌলী জেলায়।
পাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সাতপাক ঘোরার সময় পাত্রের মোবাইলে একটি কল আসে। সেটি আসলে তাঁর প্রেমিকার ফোন ছিল। ওই ফোন পাওয়ার পরে সাতপাক শেষ না করেই চলে যান পাত্র। এ নিয়ে পাত্রপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। তবে পাত্রীপক্ষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়নি। তারা কেবল মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছিল।
পুরো ঘটনায় অপমানিত ওই পরিবার জানায়, তাদের জানার অধিকার রয়েছে, কেন পাত্র এমনটা করলেন। এখন পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের তরফে মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছে। যদিও পাত্রীপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, ওই ছেলের সঙ্গে আর বিয়ে তারাও দেবে না। কিন্তু এর বিহিত চাই।