National News

পণের টাকা গুনতে পারেনি বর, বিয়ে ভাঙল কনে!

পণের নগদ টাকা পাত্র গুনতে না পারায় ভেস্তে গেল বিয়েটাই। মণ্ডপ থেকেই ফিরে যেত হল বর এবং বরযাত্রীদের। বিহারের সারণ জেলার ডোমনছপড়া গ্রামের ঘটনা। তবে কোনও তরফই কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকেরাই বিষয়টি মিটমাট করেন।

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

পণের নগদ টাকা পাত্র গুনতে না পারায় ভেস্তে গেল বিয়েটাই। মণ্ডপ থেকেই ফিরে যেত হল বর এবং বরযাত্রীদের। বিহারের সারণ জেলার ডোমনছপড়া গ্রামের ঘটনা। তবে কোনও তরফই কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকেরাই বিষয়টি মিটমাট করেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোমনছপড়া গ্রামের বাসিন্দা সকলদেব রায়ের মেয়ে রাধা কুমারীর সঙ্গে দানাপুরের হেতনপুর গ্রামের বাসিন্দা রামশঙ্কর রায়ের ছেলে অরবিন্দ কুমারের বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার বরপক্ষের লোকেরা হাজির হতে প্রথমে রীতি মেনে পুজো করা হয়। কিন্তু তার পরেই পাত্রের আচরণে সন্দেহ হয় রাধার। গোটা বিষয়টি পরিবারের লোকেদের জানান তিনি। রাধার বক্তব্য, পণের একতাড়া নোট নিয়ে এসে গুনতে দেওয়া হয় পাত্রকে। কিন্তু পাত্র সেই টাকা গুনতে পারেনি। রাধা জানিয়ে দেন, এমন ছেলেকে বিয়ে তিনি করবেন না।

এ নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং দু’তরফের লোকেরা এর পরে সালিশি বসান। সেখানে মেয়ের কথাই মেনে নেওয়া হয়। গোটা সমাজই মেয়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁর কথাই মেনে নিচ্ছে— বিহারের যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন ঘটনার নজির বিশেষ নেই।

Advertisement

সালিশি সভার সিদ্ধান্তে, বরপক্ষ নিজেদের গয়না ও উপহার ফেরত নেয়। পাশাপাশি, কন্যাপক্ষও তাঁদের দেওয়া তিলকের সামগ্রী ফেরত নেন। বিয়ে না করেই ফেরত যেতে হয় অরবিন্দ কুমারকে।
রাধার সাহস ও বুদ্ধি দেখে অবশ্য স্থানীয় মধুরা থানার সিহোরিয়া গ্রামের ছেলে অজয় রায় বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান। অজয়কে বিয়ে করে রবিবারই শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছেন রাধা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement