ঐক্যের বার্তা ছড়াতে অসম কংগ্রেসের একাধিক শিবিরের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে এক মঞ্চে বসে দলকে মজবুত করার আহ্বান জানিয়ে গিয়েছেন এআইসিসি নেতা সি পি জোশী। কিন্তু হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ তাতে দমবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছড়িয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বলছেন— ‘ঢাকঢোল পিটিয়ে জোশীজির কর্মিসভার আয়োজন করা হলেও, তাতে উপস্থিতি ছিল যথেষ্টই কম।’
রাজ্যস্তরে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যে মিটেছে, তা প্রমাণে অবশ্য আন্তরিক ছিলেন সি পি জোশী। বরাকে দলের বৈঠকের সময় তাঁর এক দিকে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত, অন্য দিকে তরুণ গগৈ-বিরোধী শিবিরের নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা। শুধু তাই নয়, গৌতমের খাসতালুকে তাঁর বিপক্ষ শিবিরের সিদ্দেক আহমেদ, সাংসদ সুস্মিতা দেবও হাজির ছিলেন জোশীজির বৈঠকে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বিধানসভা ভোটের মুখে বরাকে দলের কোন্দল দূর করতে চাইছেন। গত পুরভোটে বিজেপি ও এআইইউডিএফের উত্থানে বরাক কংগ্রেসের ভিত নড়বড়ে হয়েছে।
গত কাল হাইলাকান্দিতে কর্মিসভার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন এআইসিসি নেতা জোশী। রাহুল গাঁধী থেকে গৌতম-পুত্র রাহুল রায়— অনেক প্রসঙ্গই তাতে ওঠে। সি পি জোশী বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী দলকে সঠিক দিশাতেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।’’ তবে, বরাকে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মানতে রাজি হননি জোশী। এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়ে প্রশ্নে প্রদেশ সভাপতি অঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘শুনেছি অন্য দলের কয়েক জন বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে ইচ্ছুক।’ গৌতমবাবুর খাস তালুকে তাঁর ছেলে রাহুলের লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নে অঞ্জনবাবুর জবাব ছিল, ‘‘এ ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’’