Gujarat Assembly Election

পাটীদার নেতা বনাম টিভি সঞ্চালক! পঞ্জাবের কৌশলে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে জনতার দরবারে কেজরী

অক্টোবর শেষ থেকেই ইমেল এবং মোবাইলে কলের মাধ্যমে গুজরাতের আম ভোটারদের থেকে ‘পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী’ নাম সংগ্রহের পালা চলছিল। বুধবার বিকেল ৫টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ‘পরীক্ষা’ শেষ হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৫১
Share:

গুজরাতে এ বার জনতার পছন্দে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মনোনীত করবেন কেজরীবাল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

বিধানসভা ভোটের বাকি আর এক মাস। অধিকাংশ জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে ফের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের মতোই জনতার দরবারে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ বাছাইয়ের কৌশল নিয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল।

Advertisement

অক্টোবর শেষ-পর্ব থেকেই ইমেল এবং মোবাইলে কলের মাধ্যমে গুজরাতের আম ভোটারদের থেকে পছন্দের নাম সংগ্রহের পালা চলছিল। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ‘পরীক্ষা’ শেষ হবে। শুক্রবার তার ফল ঘোষণা করতে পারেন আপ নেতৃত্ব। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদর ইসুদান গাদভি এবং গুজরাত শাখার সভাপতি গোপাল ইতিলিয়া।

গত কয়েক দিন ধরে গুজরাতের অনেক ভোটারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পছন্দের নাম জানার জন্য ফোন এসেছে। সেখানে রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর ইসুদান এবং গোপালের পাশাপাশি ‘অন্য কোনও পছন্দের’ জন্য বোতাম টেপার অনুরোধ জানিয়েছে। আপের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে জনমত সংগ্রহের পালা। প্রসঙ্গত, চলতি বছর পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগেও একই ভাবে সরাসরি ‘জনতার দরবার’ থেকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসেবে ভগবন্ত মানকে বেছে নিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। এর পর বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তাঁর দল।

Advertisement

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ইসুদান গুজরাতের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি সাংবাদিক ও অ্যাঙ্কর ছিলেন। অন্য দিকে, ছ’বছর আগে হার্দিক পটেলের নেতৃত্বে পাটিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন গোপাল। হার্দিক কংগ্রেস ঘুরে এখন বিজেপিতে। কিন্তু গোপাল বেশ কিছু দিন ধরেই ধারাবাহিক ভাবে গুজরাতে আপের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করে চলেছেন।

২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা পেয়েছিল ৬টি আসন। এ বার অবশ্য আপ জোরকদমে ভোটের ময়দানে নেমেছে। সম্প্রতি সুরত-সহ কয়েকটি শহরের পুরভোটে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আপ। এর পর কেজরীওয়াল ধারাবাহিক ভাবে গুজরাত সফর শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটেও বিজেপির মূল লড়াই হবে আপের সঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন