Gujarat Assembly Election 2022

পাটিদার ভোটই গুজরাতে তুরুপের তাস বিজেপির

পাটিদাররাই প্রথম বিজেপিকে গুজরাতে ক্ষমতায় এনেছিল ১৯৯৫ সালে, তাদের থেকে উঠে আসা নেতা কেশুভাই পটেল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁকে কোণঠাসা করে মোদীর ক্ষমতা দখল ভাল চোখে দেখেনি পাটিদাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১২
Share:

গুজরাতে ভোটদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ পাটিদার সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ। ছবি: পিটিআই

সতেরোর গুজরাত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সব চেয়ে বেশি বেগ দিয়েছিল পাটিদার সম্প্রদায়। পাঁচ বছর পরে এ বারের বিধানসভা ভোটে তারাই হয়ে দাঁড়ালো মোদীর বিজয় রথের অন্যতম চাকা।

Advertisement

রাজ্যের ভোটদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ এই সম্প্রদায়ভুক্ত। কিন্তু অন্তত ৫০টি আসনে পাটিদারদের প্রভাব রয়েছে যথেষ্ট। বলা ভাল, ধনবান এই সম্প্রদায় পঞ্চাশটি বা তারও বেশি আসনের হারজিত নির্ধারণ করে থাকে রাজ্যে। সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছের ১১টি জেলা ছাড়াও সুরাতে পাটিদার সম্প্রদায়ের প্রভাব যথেষ্ট। এ বারে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এলাকার ৫৪টি আসনের মধ্যে ৪৭টি জিতেছে বিজেপি, যা এই সম্প্রদায়ের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব হতো না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত বারের নির্বাচনে সংরক্ষণ আন্দোলনের জেরে মাত্র ২৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। অন্য দিকে সৌরাষ্ট্রে ৩০টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এ বার ওই অঞ্চলে নেমে এসেছে মাত্র ৩টিতে। এমনকি প্রথম বার লড়তে আসা আম আদমি পার্টিও পেয়েছে ৪টি আসন।

এই পাটিদাররাই প্রথম বিজেপিকে গুজরাতে ক্ষমতায় এনেছিল ১৯৯৫ সালে, তাদের থেকে উঠে আসা নেতা কেশুভাই পটেল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁকে কোণঠাসা করে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতা দখল ভাল চোখে দেখেনি পাটিদাররা। বিজেপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়েছে। সংরক্ষণ আন্দোলন অবশ্য শুরু হয় অনেক পরে ২০১৫ নাগাদ। বিজয় রূপাণিকে সরিয়ে পাটিদার ভূপেন্দ্রভাই পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করা এবং হার্দিক পটেলকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসা বিজেপির দু’টি মোক্ষম চাল বলে মনে করা হচ্ছে। বারানগাঁও থেকে ৫১,৭০৭ ভোটে জিতেছেন হার্দিক। পাশাপাশি এ বারের প্রচারে এই সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছতে পরিশ্রম করেছেন মোদী, গত বারের ভোটে ঠিক যে কাজটা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। প্রথম পর্বের ভোটের দিন অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর তাঁর ১৮ কিলোমিটার রোড শো-য় এমন রুট ধরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে ৬০ শতাংশ পাটিদার ভোটার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন