মোদীর রাজ্যে এখনও ইস্তাহার নেই বিজেপির

রাহুল গাঁধীর ‘ধর্ম’ থেকে মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘নীচ’ কটাক্ষ কিংবা রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কপিল সিব্বলের শুনানি পিছনোর সওয়াল— কোনও লোপ্পা বলেই ছক্কা মারতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

বক্তা: গুজরাতে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। অমদাবাদ জেলার ধন্ধুকা গ্রামে। ফাইল ছবি।

প্রথম দফার ভোটের প্রচার শেষ হয়ে গেল। কিন্তু ২২ বছর ক্ষমতায় থেকেও গুজরাতের জনতার জন্য এখনও কোনও নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল না বিজেপি। মণিশঙ্কর-ক্ষত ঢাকতে শুক্রবার এই নিয়েই সরব হবেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

রাহুল গাঁধীর ‘ধর্ম’ থেকে মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘নীচ’ কটাক্ষ কিংবা রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কপিল সিব্বলের শুনানি পিছনোর সওয়াল— কোনও লোপ্পা বলেই ছক্কা মারতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদী। মেরুকরণ থেকে ‘গুজরাত অস্মিতা’র তাস খেলে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের ভবিষ্যতের প্রসঙ্গ আর রাহুল গাঁধীর থেকে ধেয়ে আসা অনুন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন। আজ প্রথম দফার ভোটের প্রচার শেষ হয়ে গেলেও শাসক দল কোনও ইস্তাহার প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে জানাল না, ফের ক্ষমতায় এলে কী করতে চায় তারা।

এ দিকে মণিশঙ্কর আইয়ারকে আজ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বের করে দিয়ে রাহুল গাঁধী আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যে ইস্যুতে ভোটের মোড় ঘোরাতে চাইছেন সেটি কংগ্রেসের মত নয়। দলের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহস থাকলে তাঁদের দলের বিতর্কিত নেতাদের বের করে দেখান। এই প্রেক্ষাপটেই আগামিকাল গুজরাতে যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। সেখানে এই প্রশ্নগুলিই মেলে ধরবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি টুইট করে বলেন, ইস্তাহার প্রকাশ না করে মোদী আসলে গুজরাতের মানুষকে অসম্মান করেছেন।

Advertisement

গত সোমবারই গুজরাতে দলের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে যে যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সম্ভব, সেগুলি তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। রাহুল নিজেও নিজের প্রচারে সেসব কথা বারবার উল্লেখ করছেন।

কংগ্রেসের নেতাদের বিস্ময়, ২২ বছর ধরে গুজরাতে শাসক থেকেও বিজেপি যদি রাজ্যবাসীকে জানাতেই না পারে, ক্ষমতায় এলে কী করবে, তার থেকে বড় ‘ধোকা’ কী হতে পারে। অথচ বিজেপি নেতৃত্ব ইস্তাহার নিয়ে একটি কমিটিও গড়েছিল। সেই কমিটির এক সদস্য এখনও খোলাখুলি বলতে পারছেন না, ইস্তাহার কবে প্রকাশ করা হবে। ঘরোয়া মহলে তাঁদের বক্তব্য, উপর মহল থেকে ছাড়পত্র না এলে এগোনো সম্ভব নয়। কারণ, কংগ্রেস ইতিমধ্যেই কৃষি ঋণ মাফ থেকে অনেক জনদরদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে আছে। বিজেপি ইস্তাহার বের করলে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তুলনা হবে। হতে পারে সেই বিতর্ক এড়াতেই এখনও ইস্তাহার প্রকাশের অনুমতি মিলছে না।

গুজরাত নির্বাচন নিয়ে সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন