Gujarat Bridge Collapse

বডোদরার সেতুর রিপোর্ট দেখে চার ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত বেড়ে ১৬

বডোদরায় মহিসাগর নদীর উপর গম্ভীরা সেতুটির একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে বুধবার সকালে। সেতুর উপরে থাকা একাধিক গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ২২:৪০
Share:

গুজরাতের বডোদরায় ভেঙে পড়েছে গম্ভীরা সেতুর একাংশ। —ফাইল চিত্র।

গুজরাতের বডোদরায় সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬। এখনও কয়েক জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বডোদরার এসপি রোহন আনন্দ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখার পর বৃহস্পতিবার সরকারি চার ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। সেই সঙ্গে রাজ্যের অন্য সেতুগুলি পরিদর্শনের নির্দেশও দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিপর্যয় এড়ানো যায়।

Advertisement

বডোদরায় মহিসাগর নদীর উপর গম্ভীরা সেতুটির একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে বুধবার সকালে। সেতুর উপরে থাকা একাধিক গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। ওই সেতু গুজরাতের আনন্দ এবং বডোদরা জেলাকে সংযুক্ত করত। ফলে পরিবহণের দিক থেকে সেতুটির গুরুত্ব ছিল। অনেক গাড়ি প্রতি দিন নদী পেরোতে ওই সেতু ব্যবহার করত। এখনও পর্যন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসপি জানান, ১৬টি দেহ নদী থেকে তোলা হয়েছে। তিন থেকে চার জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

২০২২ সালে এ ভাবেই গুজরাতের মোরবীতে একটি সেতু ভেঙে পড়েছিল। সরকারি হিসাবে তাতে মৃত্যু হয়েছিল ১৪১ জনের। মোরবীকাণ্ডের তিন বছরের মধ্যে বডোদরায় আবার সেতু বিপর্যয়ে নিঃসন্দেহে গুজরাত সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযোগ, বডোদরার ৪০ বছরের পুরনো এই সেতুটির দেখাশোনায় গাফিলতি ছিল। প্রবল যানজট হত এই সেতুর উপর। যান চলাচলও ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। কিন্তু একাধিক বার প্রশাসনকে এই সমস্যার কথা জানিয়েও লাভ কিছু হয়নি। দুর্ঘটনার পর এই সেতুর দেখাশোনা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সংস্কার সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট দেখতে চেয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট দেখেই চার ইঞ্জিনিয়ারকে তিনি সাসপেন্ড করেছেন।

Advertisement

গুজরাতের সড়ক এবং আবাসন দফতর মুখ্যমন্ত্রীরই নিয়ন্ত্রণাধীন। যে চার জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন দফতরের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এনএম নয়াকাওয়ালা, ডেপুটি এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ইউসি পটেল ও আরটি পটেল এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জেভি শাহ। তাঁরা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেননি বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement