দলিত-বিক্ষোভে এ বার রণক্ষেত্র গুজরাত!
তাঁদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ইটে আমরেলিতে মৃত্যু হয়েছে এক হেড কনস্টেবলের। সোমবার রাত থেকেই জুনাগড়, জামনগর, রাজকোট, আমরেলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। গোহত্যার অভিযোগে গির-সোমনাথ জেলার উনায় চার দলিত যুবককে রাস্তায় হেনস্থার শিকার হতে হয়। তার জেরেই এ বার উত্তাল গোটা রাজ্য। বিক্ষোভকারীদের দাবি, উনা-কাণ্ডে শাস্তি দেওয়া হোক অপরাধীদের। বন্ধ হোক দলিতদের উপর নির্যাতন। উনা-কাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার রাজকোটের গোন্ডাল এবং জামকান্ডোরনায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাত দলিত যুবক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতাও। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। দু’টি সরকারি বাসে আগুন লাগানো হয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় জেলা কালেক্টরের অফিসের সামনে। বিক্ষোভকারীদের হুমকি, সরকার ব্যবস্থা না নিলে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ গ্রাম-শহরের নোংরা পরিষ্কার করা বা মরা জন্তুর দেহ ভাগাড়ে ফেলে আসার মতো কাজ বন্ধ করে দেবে। সুরেন্দ্রনগরের একটি সরকারি দফতরে এ দিন মরা জন্তুর দেহ ফেলে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল অবশ্য কাল রাতেই টুইট করে উনা-কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করে দু’মাসের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দ্রুত বিচার শেষ করতে বিশেষ আদালত তৈরি কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।