তাগিদ: বরবেশে বুথে। শনিবার গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরের লিম্বডিতে। ছবি: রয়টার্স।
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় যে ৯৭৭ জন প্রার্থী লড়ছেন, তাঁদের মধ্যে ১৯৮ জনেরই ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি। দ্বিতীয় দফায়, ১৪ ডিসেম্বর লড়তে চলেছেন ৮৫১ জন। তাঁদের মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা ১৯৯। দুই দফা মিলিয়ে, ১,৮২৮ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে কোটিপতি মোট ৩৯৭ জন। শতকরা হিসেব নিলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ২১% প্রার্থীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি বা তার বেশি। বলা যায়, প্রতি পাঁচ জনে এক জন প্রার্থীই কোটিপতি। ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ ও ‘গুজরাত ইলেকশন ওয়াচ’ নামে দু’টি বেসরকারি সংস্থা ভোটের আগে এই নিরীক্ষা করেছে।
কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যায় শাসক বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে ধনী প্রার্থী দিয়ে নজর কেড়েছে বিরোধী কংগ্রেস। এই প্রার্থী পঙ্কজ পটেল। দাসক্রোই আসনে লড়ছেন। তাঁর ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ২৩১.৯৩ কোটি। তাঁর পরে রয়েছেন কংগ্রেসেরই ইন্দ্রনীল রাজ্যগুরু। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন পশ্চিম রাজকোট আসনে। রাজ্যগুরুর দেখানো সম্পত্তি ১৪১.২২ কোটি। তৃতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী। বোতাদ আসনে দাঁড়িয়েছেন ১২৩.৭৮ কোটির মালিক সৌরভ পটেল। পটেল অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। চার নম্বরে নামী ব্যবসায়ী ও ওয়াধওয়ান আসনের বিজেপি প্রার্থী ধঞ্জিভাই পটেল। তাঁর সম্পত্তি ১১৩.৭৮ কোটি।
৩৯৭ জন কোটিপতি প্রার্থীর ১৩১ জনের সম্পত্তির মূল্য ৫ কোটিরও বেশি। ১২৮ জনের সম্পত্তির পরিমাণ ২ থেকে ৫ কোটির মধ্যে। শাসক বিজেপির হয়ে ১৪২ জন এবং বিরোধী কংগ্রেসের টিকিটে ১২৭ জন কোটিপতি প্রার্থী দাঁড়ালেও, পিছিয়ে নেই অন্য দলও। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ১৭ জন, আম আদমি পার্টি ১৩ জন এবং বহুজন সমাজবাদী প্রার্থী ৫ জন কোটিপতিকে প্রার্থী করেছে। কোটি টাকার মালিক ৫৬ জন নির্দল প্রার্থীও। ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, শেষ আয়কর ফেরত তথ্য অনুযায়ী, ১৩ জন প্রার্থীর বার্ষিক আয়ও এক কোটি টাকার বেশি।