সঞ্জয় কাকাড়ে। ফাইল চিত্র।
জয় নিয়ে কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাই বিন্দুমাত্র সংশয় প্রকাশ করেনি। এ বারে গুজরাতে যে ফের তাদের সরকার ক্ষমতায় আসছে সে বিষয় এক প্রকার নিশ্চিত প্রায় সব বিজেপি নেতাই। আর তখনই স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন দলের রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় কাকাড়ে।
মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি সাংসদ প্রকাশ্যেই বলেছেন, এ বার বিজেপি গুজরাতে হারতে পারে। এমনকী তাঁর অনুমান, হারতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও। কাকাড়েই এই মম্তব্যের পরই রে-রে করে উঠেছেন বিজেপির অন্য নেতারা।
কাকাড়ে বলেন, ‘‘ভোটের আগে ছয় সদস্যের একটি দলকে আমি গুজরাত পাঠিয়েছিলাম। শহরের পাশাপাশি তাঁরা গুজরাতের গ্রামীণ এলাকাতেও গিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। কথা বলেন, কৃষক-শ্রমিকদের সঙ্গেও। গুজরাত থেকে ফিরে তাঁরা আমায় একটি রিপোর্ট দেন।” ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তাঁর এই অনুমান বলে জানিয়েছেন কাকাড়ে। তাঁর কথায়, “বিজেপি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে গুজরাতে ক্ষমতায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য সাধারণ মানুষের সরকার-বিরোধী মনোভাবে দলের লোকসান হতে পারে।’’ পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায় বিজেপির উপর অসন্তুষ্ট বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।
এ ছাড়াও হার্দিক পটেলকে বিজেপি যেভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে, তা নিয়েও অসন্তোষ শোনা গিয়েছে কাকাড়ের গলায়। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, হার্দিকের সেক্স সিডি প্রকাশ করে বিজেপি একেবারেই ঠিক করেনি। এ বারের ভোট প্রচারে দল উন্নয়নের ইস্যুকে ঠিক মতো তুলে ধরতে পারেনি বলেও মনে করেন ওই বিজেপি নেতা।
আরও প্রচুর: বয়সে প্রবীণ, মেজাজে নবীন দল গড়াই স্বপ্ন
গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হিসাবে কেউ উঠে আসতে পারেননি বলেও মত প্রকাশ করেছেন কাকাড়ে। তাঁর আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদী গুজরাত সংক্রান্ত ইস্যুগুলির দিকে সে ভাবে নজর দিতে পারছেন না।