ছবি: পিটিআই।
তাঁদের নথিভুক্ত বীজ ব্যবহার করার অভিযোগ এনে গুজরাতের নয় জন আলুচাষির থেকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে বহুজাতিক সংস্থা পেপসিকো। কৃষক সংগঠনগুলির পাল্টা চাপের মুখে এ বার সেই আইনি লড়াইয়ে চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত সরকার।
বহুজাতিক সংস্থাটির অভিযোগ, গুজরাতের সবরকণ্ঠা ও আরাবল্লী জেলায় ওই চাষিরা যে ধরনের আলুর চাষ করেছেন, তাতে ‘প্ল্যান্ট ভ্যারাইটি প্রটেকশন (পিভিপি) রাইট’ ভঙ্গ হয়েছে। চার জন চাষির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, ‘প্রটেকশন অব প্ল্যান্ট ভ্যারাইট অ্যান্ড ফার্মারস রাইট অ্যাক্ট, ২০০১’ অনুযায়ী ওই সব বিশেষ আলুবীজের অধিকার তাদের হাতেই রয়েছে। কৃষকেরা ওই আইন ভেঙেছেন। তবে তাদের কাজের পক্ষে একই আইনকে হাতিয়ার করছেন চাষিরা। তাঁদের দাবি, নিজেদের খামারের বীজকে রক্ষা ও তাকে নতুন করে ব্যবহারের অধিকার ওই আইনই নিশ্চিত করেছে।
অভিযুক্ত চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে ১৯২টি কৃষক সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে বামেদের সঙ্গে জুড়ে থাকা সারা ভারত কিসান সভা ও আরএসএসের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ। এ ব্যাপারে সামাজিক স্তরে চাপ আরও বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই পেপসিকো এখন সমাধানের পথ খুঁজছে বলেও খবর। এর মধ্যেই অবশ্য আদালতের বাইরে সমাধানসূত্র খুঁজতে চার চাষির উদ্দেশে প্রস্তাব দিয়েছে বহুজাতিক সংস্থাটি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শনিবার কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল বলেন, এই পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকতে পারে না গুজরাত সরকার। পরের দিনই উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল জানান, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে থাকবে না। ওই মামলায় যোগ দেবে গুজরাত সরকার।