Yusuf Pathan And Lannd Encroachment Case

জমি জবরদখলে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূলের পঠান! সাংসদকে আইন মানতে বলল গুজরাত হাই কোর্ট

বডোদরা পুরসভার অধিকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়েছিলেন পাঠান। পুরসভার অভিযোগ, ওই জমিতে দেয়াল তুলে সংশ্লিষ্ট জায়গাটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন পঠান। যা বেআইনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২১
Share:

ইউসুফ পাঠান। —ফাইল চিত্র।

বডোদরা পুরসভার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পঠানের মামলা খারিজ করে দিল গুজরাত হাই কোর্ট। ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি দখলের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন বহরমপুরের সাংসদ। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রাক্তন ক্রিকেটার ওই জমি দখল করে রেখেছেন, তা প্রমাণিত। আইনত পুরসভা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।

Advertisement

বডোদরা পুরসভার অধিকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়েছিলেন পঠান। পুরসভার অভিযোগ, ওই জমিতে দেয়াল তুলে সংশ্লিষ্ট জায়গাটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন তিনি। যা বেআইনি। তবে ২০১২ সালে পঠানকে একটি প্রস্তাব দেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা বলেন, জমিটি কিনে নিন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তার জন্য নিলাম করা হবে না। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার ২৭০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু পুরসভার ওই অনুমোদন ২০১৪ সালে বাতিল করে দেয় গুজরাত সরকার। পঠান বেআইনি ভাবে জমি দখল করে রেখেছেন, এই মর্মে তৎকালীন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পওয়ার অভিযোগ করেন। তবে এত বছর ধরে জমিটি প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্যবহার করছিলেন।

এর মধ্যে ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে বাংলার বহরমপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান ২২ গজের ‘পিঞ্চ হিটার।’ কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরীকে পরাজিত করে সাংসদ হন। ওই সময়ে পাঠানের বিরুদ্ধে আবার এক বার জমি জবরদখলের অভিযোগ আনেন বডোদরার বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর। ঘটনাক্রমে পঠানকে নোটিস দিয়ে জমি ছেড়ে দিতে বলে পুরসভা। যার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে যান তৃণমূল সাংসদ।

Advertisement

আদালতে পঠান জানান, তিনি বর্তমান বাজারদরে জমিটি কিনতে ইচ্ছুক। কিন্তু আপত্তি জানায় পুরসভা। তাদের দাবি, বিখ্যাত ক্রিকেটার সাংসদ হলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর জ্ঞান নেই। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে পাঠানের ‘দখল করা’ জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি মউনা ভট্ট। তবে পুরসভার দাবি মেনে জরিমানা করা হচ্ছে না তৃণমূল সাংসদকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এখানে মামলাকারী একাধারে জনপ্রতিনিধি এবং অন্য দিকে, এক জন তারকা। তাঁরা যে কোনও কাজকর্মের প্রভাব সমাজে পড়বে। তাই আইন মেনে চলা এবং আইনের বিষয়ে তাঁর গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement