আইসক্রিমের ভিতরে মিলল টিকটিকির লেজের টুকরো! ছবি: সংগৃহীত।
অর্ধেক আইসক্রিম খাওয়ার পর ভিতরে মিলল টিকিটিকির লেজ। সঙ্গে সঙ্গে ওই আইসক্রিম বিক্রেতা সংস্থার নামে অভিযোগ দায়ের করলেন যুবতী। সম্প্রতি গুজরাতের অহমদাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। যার জেরে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে দোকানের। হয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানাও।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, অহমদাবাদের মণিনগর এলাকার এক দোকান থেকে নিজের এবং ছেলেমেয়েদের জন্য জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের চারটি আইসক্রিম কিনেছিলেন তিনি। খেতেও শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রায় অর্ধেক আইসক্রিম খেয়ে ফেলার পর আচমকা দেখেন, আইসক্রিমের ভিতরে একটি মৃত টিকটিকির লেজের টুকরো! সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।
ওই মহিলার কথায়, ‘‘আমরা চারটি আইসক্রিম কিনেছিলাম। তার মধ্যে একটি আইসক্রিমের ভিতর টিকটিকির লেজ পাওয়া যায়। তার পর থেকে আমি ক্রমাগত বমি করে চলেছি। সৌভাগ্যক্রমে, আমার বাচ্চারা এটি খায়নি। আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করব।’’ এর পরেই অহমদাবাদ পুরসভায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট দোকানটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওই আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগের এক কর্তা ভাবিন জোশী বলেন, ‘‘আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে মণিনগরে একটি দোকানে আইসক্রিমে টিকটিকি পাওয়ার বিষয়ে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে দোকানের নাম এবং আইসক্রিমের ব্র্যান্ডের নাম জানা যায়। আমাদের দল দোকানটি পরিদর্শন করে দেখে যে, খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তাদের কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। এর পরেই দোকানটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে।’’ ওই আইসক্রিমের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জরিমানার পাশাপাশি বাজার থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওই শ্রেণির সমস্ত আইসক্রিম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।