জনজাতির জমি উদ্ধারের নির্দেশ গৌহাটি হাইকোর্টের

কোন কোন জেলায় অবৈধ ভাবে অ-জনজাতিরা জনজাতি এলাকা বা ব্লক দখল করে রেখেছে, উচ্চ আদালত তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৯
Share:

গৌহাটি হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত।

জনজাতির জন্য নির্দিষ্ট জমি যে সব অ-জনজাতি পরিবার দখল করে রেখেছে, তাদের উচ্ছেদের জন্য গৌহাটি হাইকোর্ট অসমের ৯
জেলাশাসক ও বড়োল্যান্ডের প্রধান সচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এক জনস্বার্থ মামলায় দেওয়া এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে,
৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। এই কাজে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে তাঁদের বেতন থেকে কেটে ক্ষতিপূরণ মেটানো হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি অচিন্ত্য মল্ল বুজরবরুয়াকে নিয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ। এক মাসের মধ্যে এমন জটিল কাজের কতটা করা সম্ভব— তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলাশাসকেরা। রাজ্যের সব জেলাশাসকের অবশ্য এ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। কোন কোন জেলায় অবৈধ ভাবে অ-জনজাতিরা জনজাতি এলাকা বা ব্লক দখল করে রেখেছে, উচ্চ আদালত তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। জেলাগুলি হল: বঙ্গাইগাঁও, কামরূপ মেট্রো, তিনসুকিয়া, মরিগাঁও ও শোণিতপুর। এ ছাড়া রয়েছে, কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা ও উদালগুড়ি জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল।

Advertisement

শুনানি পর্বে রাজস্ব ও দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের যুগ্ম সচিব গীতাঞ্জলি বরুয়া আদালতকে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ভূমিনীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন লাভ করেছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও হয়নি। নতুন আইনে জনজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা যেন অ-জনজাতি দখল করে রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয়। তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন ৯ জেলাশাসক ও বড়োল্যান্ডের প্রধান সচিব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন