বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগে শুক্রবার উত্তাপ ছড়াল কর্নাটকের রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী একটি অডিয়ো টেপ প্রকাশ করে দাবি করেছেন, তাঁর সরকার ফেলতে জেডিএস বিধায়ককে টাকার টোপ দিয়েছেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে ইয়েদুরাপ্পার দাবি, ওই অডিয়ো টেপ ‘ভুয়ো’ এবং ‘সাজানো’।
কর্নাটক বিধানসভায় আজ বাজেট পেশের আগে সাংবাদিক বৈঠকে কুমারস্বামীর অভিযোগ, তাঁদের দলের বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। জানান, তাঁর কাছে দু’টি অডিয়ো টেপ রয়েছে। তার একটিতে শোনা গিয়েছে, জেডিএস বিধায়ক নাগানা গৌড়ার ছেলে শরণকে টেলিফোনে ইয়েদুরাপ্পা টাকা এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। কুমারস্বামীর সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন শরণও। সেখানে তিনি জানান, অডিয়ো টেপের কথোপকথন সম্পূর্ণ সত্য। ইয়েদুরাপ্পা তাঁকে দল ভাঙার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর পরই কুমারস্বামী নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে। তিনি বলেন, ‘‘মোদী ও অমিত শাহ-ই এই সব করাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা অসম্ভব।’’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘অডিয়োটাই ভুয়ো। আমি কারও সঙ্গে দেখা করিনি। এটা সম্পূর্ণ নাটক। কুমারস্বামী নিজের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।’’
বিধানসভার স্পিকারের কাছে দলের ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সিদ্দারামাইয়া জানান, দলের হুইপ সত্ত্বেও গত ১৮ জানুয়ারি পরিষদীয় দলের বৈঠকে রমেশ জারকিহোলি, উমেশ যাদব, মহেশ কুমাথালি এবং বি নগেন্দ্র গরহাজির ছিলেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত।