Karnataka Assembly Election 2018

কিং-এর মাথায় কাঁটার মুকুটই

কুমারস্বামীর বাবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার কুর্সি বছর ঘোরার আগেই চলে গিয়েছিল কংগ্রেস সমর্থন তুলে নেওয়ায়। দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামীকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ভরসা রাখতে হচ্ছে সেই কংগ্রেসের উপরেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

এইচ ডি কুমারস্বামী

‘কিং মেকার’ নন, হতে চেয়েছিলেন ‘কিং’। কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগেই বি এস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় সেই ‘কিং’ হওয়ার দরজা খুলে গিয়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর কাছে। কিন্তু ‘কিং’-এর মাথায় মুকুটটি হতে চলেছে কাঁটার।

Advertisement

কুমারস্বামীর বাবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার কুর্সি বছর ঘোরার আগেই চলে গিয়েছিল কংগ্রেস সমর্থন তুলে নেওয়ায়। দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামীকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ভরসা রাখতে হচ্ছে সেই কংগ্রেসের উপরেই। আবার বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসেরও এখন দরকার কুমারস্বামীকে। ভোটের আগে কুমারস্বামীর জোট হয়েছিল মায়াবতীর সঙ্গে। মায়ার ঝুলিতে মাত্র একটি আসন। ভোটের পরে জোট হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। সেই সুবাদেই মাত্র ৩৭টি আসন পেয়েও কুর্সিতে বসতে চলেছেন কুমারস্বামী।

জেডি(এস) নেতা কুমারস্বামী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী আগেও হয়েছেন। কিন্তু প্রথমে রাজনীতিতে তেমন কোনও আগ্রহ ছিল না তাঁর। কুমারস্বামীর বরং আগ্রহ ছিল সিনেমা বানানোয়। পরিচালক এবং পরিবেশক হিসেবে বেশ সফলও হয়েছিলেন কুমারস্বামী। রাজনীতিতে তিনি পা রাখেন ১৯৯৬ সালে। সেই বছর কনকপুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে হেরে যান কংগ্রেসের এম ভি চন্দ্রশেখরের কাছে। ১৯৯৯ সালের বিধানসভা ভোটেও হার। ২০০৪ সালের বিধানসভা ভোটে কুমারস্বামী জেতেন রামনগর থেকে। ২০০৪ সালে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে কর্নাটকে জোট সরকার গড়ে জেডি(এস)। ২০০৬ সালে ভেঙে যায় সেই জোট। এর পরে সরকার গড়ে বিজেপি-জেডি(এস) জোট। মুখ্যমন্ত্রী হন কুমারস্বামী। ২০০৭ সালে সেই জোট ছেড়েও বেরিয়ে আসেন দেবগৌড়া-পুত্র। কর্নাটকে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।

Advertisement

এ বারেও কর্নাটকে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে জেডি(এস)। কুমারস্বামীর সামনে খুলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার দরজা। তবু তিনি পুরোপুরি যে স্বস্তি পেলেন, এ কথা বলা যায় না। কারণ বিধানসভায় তাঁকেও দিতে হবে শক্তিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় জিতলে ছ’মাসের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবে না বিজেপি। কিন্তু তার পর? ইস্তফা দেওয়ার আগে আজ নিজের ভাষণে সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বলেই দিয়েছেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ভোট হবে। ইস্তফা দিয়েই রাজ্যের প্রান্তিক এলাকায় সফরে যাব।’’

বাইরে বিজেপি। আর ঘরের সঙ্গী কংগ্রেস। প্রতিটা পদক্ষেপই করতে হবে সাবধানে। তাই চিন্তা রয়েই যাচ্ছে কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন