ভোটগণনা নির্বিঘ্নে শেষ করতে প্রস্তুত হাইলাকান্দি প্রশাসন। অন্য দিকে ইভিএম বন্দি ফলাফল জানতে উৎসুক জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
হাইলাকান্দি জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫০ জন এ বারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। হাইলাকান্দি কেন্দ্রে লড়েছেন ২৩ জন। আলগাপুরে ১৪ ও কাটলিছড়ায় ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন ১৩ জন প্রার্থী।
ভোটগণনা হবে হাইলাকান্দির সরকারি ভি এম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। গণনার দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ অন্য সব কিছুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ বার ৩৮টি টেবিলে ভোটগণনা করা হবে। হাইলাকান্দি ও আলগাপুর কেন্দ্রের জন্য থাকবে ১২টি করে টেবিল। কাটলিছড়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে ১৪ টি টেবিল। ভোটগণনা নিয়ে ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক করেছেন হাইলাকান্দি প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন জানিয়েছে, গণনার দিন নির্বাচনী এজেন্টদের সকাল ৭টার মধ্যে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সকাল সাড়ে ৭টার সময় প্রার্থী বা তাঁর এজেন্টদের সামনে স্ট্রং-রুম খোলা হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হবে। তারপর দেখা হবে ইভিএম।
প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গণনাকেন্দ্রে জলের বোতল, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, সিগারেট-সহ কোনও নেশাদ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। শুধু কাগজ-কলম নেওয়ার অনুমতি থাকবে। প্রতিটি টেবিলে কমিশন নিযুক্ত মাইক্রো-অবজার্ভার নজর রাখবেন।
ভোটগণনার প্রস্তুতির বিষয়ে হাইলাকান্দির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজমোহন রায় জানান, স্ট্রং-রুমে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর প্রতিনিধিরাও সেখানে দিনরাত থাকছেন। বিধানসভার ভোটগণনার দিন সকাল থেকে শহরে প্রবেশের বেশির ভাগ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেলা পুলিশের ডিএসপি ফয়েজ আহমেদ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ নজরদারি রাখবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১৬ ও ১৭ মে গণনা এজেন্টদের ‘অনুমতিপত্র’ দেওয়া হবে।
ভোটগণনার দিন এগিয়ে আসতেই জেলাজুড়ে রাজনীতির উত্তাপ বাড়ছে। ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষও। কংগ্রেস, বিজেপি ও ইউডিএফ প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্দল ও তাঁদের সমর্থকরা নিজেদের মতো করে জয়ের অঙ্ক কষছেন। কে, কী ভাবে বিজয় উৎসব পালন করবেন, তার রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে।
হাইলাকান্দির এ বার ভোট দিয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৬ জন। ৫০ জন প্রার্থীর মধ্যে তাঁরা বেছে নিয়েছেন তিন জনকে। তাঁদের নাম জানা যাবে ১৯ মে।
ওই দিনই বরাকে একাদশ ভাষাশহিদ দিবসও পালিত হবে। এ বার একই দিনে ভোটগণনা থাকায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেক উদ্যোক্তাই।
মণিপুরে ভূকম্পন। পরপর মাঝারি মাত্রার দু’টি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, আজ দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে প্রথম ভূকম্পন অনুভূত হয়। তার তীব্রতা ছিল ৪.৯। উৎসস্থল মণিপুরের চাণ্ডেলে, ভূপৃষ্ঠের ৬০ কিলোমিটার নীচে।
ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয় বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৩.৩। উৎসস্থল সেনাপতি জেলায়, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নীচে। পরপর দু’টি ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্যে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পে রাজ্যের কোথাও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। কোনও জায়গা থেকে সম্পত্তি নষ্ট হওয়ারও সংবাদ আসেনি।