HAL Dhruv

দুর্ঘটনার পর ব্যবহার বন্ধ হয়েছিল, সেই ধ্রুব কপ্টার আবার ফেরাচ্ছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল)-এর তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ (এএলএইচ) ধ্রুব গত এক দশকে একাধিক বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। উঠেছে যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৯
Share:

হ্যাল-এর তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ ধ্রুব। —ফাইল চিত্র।

স্থলসেনায় ফিরে এসেছে বছর দেড়েক আগেই। এ বার ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী আবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল)-এর তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ (এএলএইচ) ধ্রুব ব্যবহার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

Advertisement

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী মিলে এক সময় ৩০০টির বেশি ধ্রুব হেলিকপ্টার ব্যবহার করত। হ্যাল-এর তৈরি ধ্রুব ভারতীয় বায়ুসেনার পাশাপাশি নেপাল, মলদ্বীপ এবং মরিশাসের বিমানবাহিনী ব্যবহার করে। ২০২৩ সালে স্থলসেনা ১৪৫টি ধ্রুব হেলিকপ্টার ব্যবহার করত। এ ছাড়া বায়ুসেনা ৭০টি, নৌসেনা ১৮টি আর উপকূলরক্ষী বাহিনী ব্যবহার করত ২০টি। তবে গত এক দশকে একাধিক বার যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে ধ্রুবের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর আগে এই কপ্টার কেনার পরেও তা দুর্ঘটনার জেরে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর।

২০২৩ সালে কাশ্মীরের কাশ্মীরে একটি ধ্রুব ভেঙে পড়ার পরে প্রায় চার মাস হালকা ওজনের আধুনিক কপ্টারটির উড়ান সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর পরে সেনা পরীক্ষামূলক ভাবে আবার ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু গত বছর গুজরাতে একটি ধ্রুব যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পড়ায় ফের বন্ধ হয়েছিল ব্যবহার। এ বার নৌসেনা এবং হ্যাল-এর বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা, নিখুঁত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর যে হেলিকপ্টারগুলিকে ‘যোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, একমাত্র সেগুলিই ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement