রাজ্যসভার অচলাবস্থা নিয়ে কড়া মন্তব্য চেয়ারম্যানের

জিএসটি বিল পাশ করানো সম্ভব না হলেও শীতকালীন অধিবেশনের শেষ তিন দিনে অন্তত তিনটি বিল পাশ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু সেখানেও পুরোপুরি সাফল্য মিলল না। আর এই সাফল্য না মেলার কারণ হিসেবে গোটা শীত অধিবেশন জুড়ে রাজ্যসভার অচলাবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে। যে অচলাবস্থার বিরুদ্ধে আজ অধিবেশনের শেষ লগ্নে কড়া মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:০৮
Share:

জিএসটি বিল পাশ করানো সম্ভব না হলেও শীতকালীন অধিবেশনের শেষ তিন দিনে অন্তত তিনটি বিল পাশ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু সেখানেও পুরোপুরি সাফল্য মিলল না।

Advertisement

আর এই সাফল্য না মেলার কারণ হিসেবে গোটা শীত অধিবেশন জুড়ে রাজ্যসভার অচলাবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে। যে অচলাবস্থার বিরুদ্ধে আজ অধিবেশনের শেষ লগ্নে কড়া মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি। সাংসদদের ‘আত্মসমীক্ষা’ করতে বলে তিনি মন্তব্য করেন, অচলাবস্থা তৈরির পিছনে বিভিন্ন শিবির নিজের কৌশল অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে নানা যুক্তি দিয়েছে। কাজের সময় নষ্ট হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারকে কেন দায়ী করা হচ্ছে না? আনসারি বলেন, ‘‘আমি যা বলেছি, সকলের জন্যই বলেছি।’’

শুধু সময় নয়, সূত্রের খবর রাজ্যসভার কাজ বানচাল হওয়ার জন্য ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছেন কেউ কেউ।

Advertisement

এ দিন অবশ্য রাজ্যসভায় সালিশি ও মীমাংসা আইনের সংশোধনী বিল ও বাণিজ্যিক আদালত-হাইকোর্টের বাণিজ্যিক বিভাগ বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। লোকসভা আগেই ওই দু’টি বিলে সিলমোহর বসিয়েছিল। কিন্তু সংস্কারের পথে গুরুত্বপূর্ণ দেউলিয়া আইন সংক্রান্ত বিলটি লোকসভাতেই ধাক্কা খেয়েছে। বিরোধিতার মুখে বিলটিকে সংসদের যৌথ কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠাতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার।

এ জন্য কংগ্রেসকেই দুষেছেন সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কংগ্রেস এখন দেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছে। কংগ্রেস ভাবতে পারে রাজ্যসভায় অচলাবস্থা তৈরি করে, লোকসভায় হট্টগোল করে লাভবান হবে। কিন্তু আসলে দেশের ক্ষতি হচ্ছে।’’ নায়ডু জানান, কংগ্রেস চায় না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফল হোন। কারণ তিনি কংগ্রেসের জন্য ভবিষ্যতেও সমস্যা হয়ে দাঁড়াবেন।

বিজেপি কংগ্রেসকে দুষলেও আসলে লোকসভায় কোনও দলই তড়িঘড়ি দেউলিয়া আইন পাশ করানোর পক্ষে মত দেয়নি। দেউলিয়া আইন হলে আর্থিক সঙ্কটের জেরে সময়ে ধার শোধ করতে সমস্যায় পড়া সংস্থার সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগ খোলা না-থাকলে, সংস্থা গোটানো তুলনায় অনেক বেশি সহজ হবে। এর ফলে ধারের টাকা আদায় করা সহজ হবে ঋণদাতার পক্ষে। রাজ্যসভা যাতে বাধা দিতে না পারে, তার জন্য এই বিলটিকে অর্থবিল হিসেবে নিয়ে এসেছিল সরকার। কিন্তু স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই সরাসরি বিল পাশ করার পক্ষে কেউই মত দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন