সুষমা থেকে বসুন্ধরা নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক শক্তিশেল নিক্ষেপ করছে কংগ্রেস, তখনই দলের অন্দরমহল থেকেই উঠল প্রবল সমালোচনার ঝড়। এবং তা করলেন ইউপিএ সরকারেরই এক সময়ের মন্ত্রী তথা কর্নাটকের রাজ্যপাল হংসরাজ ভরদ্বাজ। কংগ্রেসের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি রাহুল গাঁধীকেও একহাত নিয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদীকে বিদেশে ভিসা দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর ব্যবসায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্বামীর ডিরেক্টর পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব— বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই সরব কংগ্রেস। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিও তুলেছে তারা। বিষয়গুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গাঁধী স্বয়ং। এই ইস্যুগুলি নিয়ে আসন্ন বাদল অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে কংগ্রেস। আর এখানেই দলের লাইনের বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন সাংসদ হংসরাজ ভরদ্বাজ।
সংসদের অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে হংসরাজ বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্ত একেবারেই অযৌক্তিক। ললিত মোদী অন্যায় করে থাকলে তার জন্য আইন আছে। প্রতিবাদও চলতেই পারে। কিন্তু এর জন্য সংসদের অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।” কংগ্রেসকে দুর্বল বলে তাঁর দাবি, শক্তিশালী বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই দল।
দলকে সঠিক দিশা দেখাতে না পারার জন্য রাহুল গাঁধীকেও এক হাত নিয়েছেন হংসরাজ। কংগ্রেস সহ সভাপতিকে কটাক্ষ করে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, “বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে চাইছেন না রাহুল। নিচুতলার সঙ্গে যোগাযোগও যথেষ্ট কম তাঁর। রাহুলের উচিত, অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া।”