প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সুখের সূচক চালু করবে। গুজরাত ভোটে কংগ্রেসের ইস্তাহারে এটাই প্রচারের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে।
কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, নরেন্দ্র মোদী যতই গুজরাতে উন্নয়নের কথা বলুন, আসলে রাজ্যের মানুষ আনন্দে নেই। সুখেও নেই। কারণ, এই রাজ্যে মোদীর জমানা থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বারণ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভরতসিংহ সোলাঙ্কি বলেন, ‘‘গুজরাতে মোদী উন্নয়নের কথা বলেন। কিন্তু রাজ্যে আসলে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি থাকে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়। তাদের উপরে নজরদারি করা হয়। স্বাস্থ্য-শিক্ষার মাপকাঠিতে মানব উন্নয়ন সূচকেও গুজরাত পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ কেমন আছেন, তা বোঝার জন্য তাই ‘হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ চালু করা প্রয়োজন। আমাদের ইস্তাহারে সেই প্রতিশ্রুতিই থাকবে।’’
ঘটনাচক্রে, বিজেপির বিরুদ্ধে দমন-নীতির অভিযোগ প্রমাণে আজই নতুন অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। গুজরাতে এ দিন হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সোলাঙ্কির অভিযোগ, হার্দিক পটেল, অল্পেশ ঠাকুর, জিগ্নেশ মেওয়ানির মতো নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। তাই তাঁদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে। এ বার তাঁদের জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
পাতিদারদের আন্দোলন চলাকালীন বিজেপি বিধায়ক ঋষিকেশ পটেলের দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে এ দিন হার্দিকের বিরুদ্ধে মেহসানার স্থানীয় আদালত জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কংগ্রেসের মতো এতে রাজনৈতিক লাভ দেখছেন হার্দিকও। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি চাই ওরা আমাকে গ্রেফতার করুক। আমাকে জেলে ঢোকালে আরও মজা হবে। আমারই লাভ হবে।’’
কংগ্রেসের অভিযোগ, জিএসটি নিয়ে ক্ষুব্ধ আমদাবাদ-সুরাতের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের আন্দোলনও দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে গুজরাত সরকার। সেই ক্ষোভ উস্কে দিতেই রাহুল গাঁধী গুজরাতের পরবর্তী দফার প্রচারে ১ থেকে ৩ নভেম্বর সুরাত ও দক্ষিণ গুজরাতে যাচ্ছেন। তার আগে দেশের অর্থনীতির ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে কটাক্ষ করে রাহুল টুইট করেছেন, ‘আপনার প্রহসন আপনার কাছেই থাকুক।’
গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌতের যুক্তি, অমদাবাদে রাহুল গাঁধী ও তাঁর উপরে যে ভাবে নজরদারি চলেছে, তা থেকেই রাজ্যের পরিস্থিতি স্পষ্ট। গহলৌতের কটাক্ষ, ‘‘গুজরাতিরা বলছেন, রাজ্যে উন্নয়ন বা বিকাশ পাগল হয়ে গিয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদী বলছেন, আমিই বিকাশ!’’