Harsh Vardhan Shringla

উত্তর-পূর্ব পরিষদে উত্তরবঙ্গকে চান শ্রিংলা

উত্তরবঙ্গের কৌশলগত গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শ্রিংলা আজ বলেছেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অবশিষ্ট ভারতকে সংযোগকারী তথাকথিত ‘চিকেন নেক’-এর কাছেই শিলিগুড়ি করিডরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের ‘বিভাজনের’ দাবি ঘিরে বাদানুবাদ অব্যহত সংসদের ভিতরে ও বাইরে। আজ রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সামিরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে এসেছেন। অর্থাৎ ঘুরপথে বাংলা ভাগের কথা বলা হচ্ছে।

অন্য দিকে আজ দার্জিলিংয়ের ভূমিপুত্র তথা দেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব পরিষদকে সংযুক্ত করা হলে, উত্তরের সমস্যার যথাযোগ্য সমাধান পাওয়া যাবে। তাঁর তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, ‘‘সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ১০ শতাংশ উত্তর-পূর্ব পরিষদের জন্য বরাদ্দ। অথচ উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের পথে যে যে বাধা, তা উত্তরবঙ্গের জন্যও প্রযোজ্য। যদিও ওই পরিষদের সুবিধা উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছয় না।” শ্রিংলার মতে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা কেন্দ্রিক যৎসামান্য উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পায়নি উত্তরবঙ্গ। তাঁর কথায়, “ধারাবাহিক ভাবে উত্তরবঙ্গকে অবজ্ঞা করার ফলে পৃথক রাজ্যের দাবি করেছে গোর্খা, রাজবংশী এবং কামতাপুরি সম্প্রদায়।”

উত্তরবঙ্গের কৌশলগত গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শ্রিংলা আজ বলেছেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অবশিষ্ট ভারতকে সংযোগকারী তথাকথিত ‘চিকেন নেক’-এর কাছেই শিলিগুড়ি করিডরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং চিনের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির নিকটবর্তী। আবার ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার সংযোজক হিসাবেও শিলিগুড়ি করিডরের তাৎপর্য রয়েছে।’’ অন্য দিকে, আজ সকালে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলামের বক্তৃতার পুরো সময়টা জুড়েই চিৎকার করতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে। সামিরুলের বক্তব্য শেষ হলে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে শমীককে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। পরে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কংগ্রেস চিরকালই তৃণমূলের উদ্ধত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন