হরিয়ানার সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল বিকাশ বরালা। — ফাইল চিত্র।
আট বছর আগে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীর পিছু নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আইনজীবী বিকাশ বরালার বিরুদ্ধে। যাঁর পিছু নিয়েছিলেন, তিনি আবার এক আমলার কন্যা। সেই আইনজীবীকেই এ বার সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে নিযুক্ত করল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। ঘটনাচক্রে, বিকাশ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুভাষ বরালার পুত্র।
তরুণীর পিছু নেওয়ার ওই মামলা ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের অগস্টে। হরিয়ানার তৎকালীন এক আইএএস অফিসারের কন্যার পিছু নিয়ে তাঁকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বিকাশ এবং তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ওই তরুণী বাড়ি ফেরার সময় তাঁর পথ আটকে গাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন ওই আইনজীবী এবং তাঁর সহযোগী। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে পিছু নেওয়ার মামলা রুজু হয়। পরে অপহরণের চেষ্টার মামলাও যুক্ত হয়। ওই বছরেরই অক্টোবরে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। গ্রেফতারও হন বিকাশ। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ অনুসারে, এই মামলায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন বিকাশ। পরে অবশ্য পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান তিনি। তবে চণ্ডীগড়ের এক আদালতে এখনও সেই মামলা চলছে।
হরিয়ানা সরকার সেই বিকাশকেই সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে নিযুক্ত করতেই ফের পুরনো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হরিয়ানার আঞ্চলিক দল আইএনএলডি-র বিধায়ক আদিত্য দেবীলাল প্রশ্ন তুলেছেন এই নিয়োগ নিয়ে। যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে, তাঁকে কী ভাবে এমন একটি পদে বসানো যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আদিত্য। যদিও হরিয়ানার মন্ত্রী রণবীর গঙ্গওয়ার বক্তব্য, যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে বিকাশকে। তিনি জানান, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি বিকাশের নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। তার পরেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে।
যে আমলা কন্যার পিছু নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, সেই তরুণীও মুখ খুলেছেন এই নিয়োগের বিষয়ে। তাঁর বক্তব্য, কেন বিকাশকে নিয়োগ করা হয়েছে সেই জবাব একমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই দিতে পারবেন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, হরিয়ানার আইন অনুসারে, কোনও আইনজীবী যদি কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন, তবে তাঁকে আইন আধিকারিকের পদে বসানো যায় না। তবে বিচারাধীন মামলার ক্ষেত্রে এমন কোনও বাধা নেই।