National News

কোথায় হানিপ্রীত? লুক আউট নোটিস জারি করল হরিয়ানা পুলিশ

‘বাবা’ গেলেন জেলে। পালানোর ছক ভেস্তে গেল। তাঁর ২০ বছরের সাজা ঘোষণা হল। হাওয়া বিপরীত দিকে বইছে দেখেই আর দেরি করেননি হানিপ্রীত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:৫৪
Share:

রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীত। ছবি: সংগৃহীত।

‘বাবা’র সাজা ঘোষণার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁর পালিত মেয়ে হানিপ্রীত ইনসান। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বিমানবন্দর-সহ রাজ্য থেকে বেরনোর বিভিন্ন চেক পয়েন্টগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

গুরমিতের এই পালিত কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যে দিন পঞ্চকুলা আদালত রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত করে, সে দিনই আদালত চত্বর থেকে তাঁকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন হানিপ্রীত। সেই মতো পুরো প্রস্তুতি নিয়েই আদালতে এসেছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। সন্দেহটা আরও ‘দৃঢ়’ হয়, একটি লাল ব্যাগকে ঘিরে। আদালতে হাজির হওয়ার সময় রাম রহিমের সঙ্গে ওই লাল ব্যাগটি দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: তল্লাশিতে কী মিলল ‘বাবা’র গুপ্ত ঘরে? দেখে নিন

Advertisement

আসলে ব্যাগ চেয়ে পাঠানোটাই ছিল সঙ্কেত— খারাপ খবর। হাঙ্গামা শুরু করো। প্রায় একই সময়ে ডেরার বাছাই করা গুন্ডাদের মোবাইলে এসএমএসে পৌঁছয় একটি সাঙ্কেতিক বার্তা— ‘টোম্যাটো ফোড়ো’। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সম্ভবত সিরসায় ডেরার সদর দফতর থেকেই পাঠানো হয়েছিল সেই এসএমএস। মর্মার্থ একই, ‘ভাঙচুরে নেমে পড়ো।’ পার্থক্য শুধু একটাই। ‘লাল ব্যাগ’ ছিল সরাসরি গুরমিতের সঙ্কেত।


অলঙ্করণ: অর্ঘ্য মান্না

ওই সঙ্কেত দিয়েই গণ্ডগোল ছড়িয়ে আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে পালানোর ছক কষেছিলেন রাম রহিম। পুলিশের দাবি, এ কাজে তাঁকে পুরোদস্তুর সহযোগিতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন হানিপ্রীত। সে দিন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে হানিপ্রীতের হাতেই ওই লাল ব্যাগটি লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাই নয় ‘বাবা’র দেহরক্ষীরাও প্রস্তুত ছিল তাঁকে নিয়ে পালানোর জন্য। তবে পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় হরিয়ানার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সুমিত কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দলের তত্পরতায়।

আরও পড়ুন: নালায় ভাসছিল চিকিৎসকের দেহ

‘বাবা’ গেলেন জেলে। পালানোর ছক ভেস্তে গেল। তাঁর ২০ বছরের সাজা ঘোষণা হল। হাওয়া বিপরীত দিকে বইছে দেখেই আর দেরি করেননি হানিপ্রীত। কারণ এই মুহূর্তে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ভূমিকাকে ঘিরে। ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী তাই নিজের বিপদর গন্ধ পেয়েই গা ঢাকা দেন। যে দিন রাম রহিমের সাজা ঘোষণা হয়ে যায়, সে দিন থেকেই বেপাত্তা হানিপ্রীত। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিসও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন