Attack

‘ব্যাগে গো-মাংস আছে, এই বলে আমাদের উপর চড়াও হয় ওরা’

বৃহস্পতিবার ট্রেনে নিজেদের সিটে বসে লুডো খেলছিলেন তাঁরা। হরিয়ানার ওখলা স্টেশন থেকে ৫-৬ জনের একটি দল ট্রেনে ওঠে। সিট ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু, তা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় জুনেইদদের গালিগালাজ করতে শুরু করে তারা। পরে তা মারামারি পর্যায়ে পৌঁছয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ২০:৪০
Share:

হাসপাতালে জুনেইদের রক্তাক্ত দেহ।— ফাইল চিত্র।

রাতের ট্রেনে ভাই জুনেইদকে কী ভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে আনলেন দাদা হাসিব।

Advertisement

কী হয়েছিল?

হাসিব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ট্রেনে নিজেদের সিটে বসে লুডো খেলছিলেন তাঁরা। হরিয়ানার ওখলা স্টেশন থেকে ৫-৬ জনের একটি দল ট্রেনে ওঠে। সিট ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু, তা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় জুনেইদদের গালিগালাজ করতে শুরু করে তারা। পরে তা মারামারি পর্যায়ে পৌঁছয়। ট্রেনের ভিতরে হামলার ওই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন হাসিবও। সেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে হাসিব বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে থাকা প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে গরুর মাংস আছে, এই অভিযোগ তোলে ওরা। এ জন্য আমাদের সিটে বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। ব্যাগে মাংস নেই, এটা বলতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।’’

Advertisement

বিতর্ক শুরু হলে হাসিব ও তাঁর ভাইয়েরা অন্য কামরায় চলে যান। সেখানেও তাঁদের পিছু নেয় ওই যুবকরা এবং অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে। নিহত জুনেইদের আর এক ভাই মোশিন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ফরিদাবাদ স্টেশনে নেমে অন্য ট্রেন ধরার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু, ওঁরা আমাদের বাধা দেয়। ট্রেনে ভিড় থাকায় চেষ্টা করেও আমরা নামতে পারিনি।’’ এর পর ট্রেন বল্লভগড় স্টেশনে পৌঁছলে, ফের বচসা শুরু হয়। ট্রেনের ভিতরেই জুনেইদকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে এক যুবক। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হন আরও দু’জন। এ দিন নিহত জুনেইদের বাবা করিমও বলেন, ‘‘কেউ এ রকম ভাবে মারধর করতে পারে, ভাবতেই পারি না।’’

আরও পড়ুন: হরিয়ানার ট্রেনে নৃশংসভাবে খুন, বিদ্বেষের বলি বলেই সন্দেহ

অন্য দিকে, হামলার ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার এবং তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়ার পর ওই অভিযুক্ত দাবি করেছে, সে মদ্যপ ছিল। বন্ধুদের প্ররোচনাতেই ওই যুবকদের মারধর করে সে। জিআরপি-র সুপার কমলদীপ গয়াল জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চার জন হামলা চালিয়েছিল। মূল অভিযুক্তর কাছ থেকে এমন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, যাতে এই হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন