Hathras Gangrape

হাথরস নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের মধ্যে ১০৪ ফোন কল! জানাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

যদি নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের যোগাযোগ থেকেও থাকে, তাহলেও গণধর্ষণের অভিযোগ কী লঘু হয়ে যায়?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা          

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪০
Share:

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের ফোন ও প্রধান অভিযুক্তের মোবাইল ফোন কল তদন্ত করে দেখেছেন তাঁরা। ছবি—পিটিআই।

হাথরসে দলিত তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের যোগাযোগ ছিল ফোনে। গত এক বছরে ১০০ বারেরও বেশি কল হয়েছে ওই দু’জনের মধ্যে। গত সেপ্টেম্বরে হাথরসের ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিংহের বাড়িও বুলা গড়হী গ্রামেই।

Advertisement

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের ফোন ও প্রধান অভিযুক্তের মোবাইল ফোন কল তদন্ত করে দেখেছেন তাঁরা। তার পরই এই বিষয়টি জানতে পারা গিয়েছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। তারা জানিয়েছে, নির্যাতিতার ভাইয়ের নামে থাকা নম্বর থেকে নিয়মিত ফোন আসত সন্দীপের নম্বরে।

পুলিশের দাবি, ২০১৯-এর ১৩ অক্টোবর তাঁদের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ শুরু হয়েছিল। নির্যাতিতার নম্বর থেকে সন্দীপের নম্বরে মোট ১০৪টি কল হয়েছিল। তার মধ্যে ৬২টি আউটগোয়িং কল ও ৪২টি ইনকামিং কল। এই কলগুলির অধিকাংশই ছান্দপা এলাকার টাওয়ার লোকেশন থেকে হয়েছিল। যা বুলা গড়হী গ্রাম থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার। এই কল তত্ত্বের মাধ্যমে পুলিশ জানিয়েছে, হাথরসের নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের যোগাযোগ ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ওই রকম মেয়েদের দেহ বাজরা ক্ষেতেই মেলে’, বিতর্কে বিজেপি নেতা

১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে বাজরা ক্ষেতে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর ঘাড়ে ও সুষুম্না স্নায়ুতে গুরুতর আঘাত ছিল। আলিগড়ের হাসপাতাল থেকে দিল্লির সফদরজং হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। সেখানেই ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নির্যাতিতার গ্রামের চার যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সন্দীপ সিংহ সেই চার জনের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: উন্নাও ‘গণধর্ষিতা’র ভাইপো নিখোঁজ, ভয় দেখাতে অপহরণ?

নির্যাতিতার মৃত্যুর পর ন্যায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় দেশ। গোপনে নির্যাতিতার দেহ পোড়ানো ও সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতার পরিবারের কাছে ঘেঁষতে না দেওয়ার ঘটনায় যোগী প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাথরস কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন—এই অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দেওয়া এই চাঞ্চল্যকর তথ্য নতুন মোড় আনল গোটা ঘটনায়। এই তথ্য সামনে আসার পর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, যদি নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের যোগাযোগ থেকেও থাকে, তাহলেও গণধর্ষণের অভিযোগ কী লঘু হয়ে যায়? না এই তথ্য দিয়ে জনমানসের নজর অন্য কোনও দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে যোগীর পুলিশ?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement