এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পরীক্ষায় ভাল নম্বর দেওয়া হবে। এমনকি, কলেজ শেষে চাকরির সুযোগও করে দেবেন! এমন কথা বলে ছাত্রীদের ভুলিয়ে কখনও নিজের বাড়িতে, আবার কখনও কলেজের মধ্যেই ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থা করতেন এক অধ্যাপক! শুধু তা-ই নয়, গোপন ক্যামেরায় সেই সব কীর্তি রেকর্ড করে রাখতেন। পরে সেই সব ছবি ভিডিয়ো দেখিয়ে ছাত্রীদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন বলেও অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ফুলচাঁদ বগলা কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে বরখাস্ত করেছেন। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পলাতক তিনি।
অভিযুক্ত অধ্যাপক রজনীশ কুমার, কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান। অভিযোগ, কলেজের বেশ কিছু ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর কাজকর্ম করেন তিনি। যৌন নির্যাতনও করতেন। নির্যাতিতাদের মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দিতেন। ভিডিয়ো তুলে পরে ব্ল্যাকমেল করতেন। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বেনামি চিঠি লিখে এক জন থানায় বিষয়টি জানান। শুধু থানায় নয়, মহিলা কমিশনেও রজনীশের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানানো হয়। তার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত শুধু এক জন ছাত্রীকেই নন, আরও অনেককেই যৌন হেনস্থা করেছেন। পুলিশ ভুক্তভোগীদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে।
সম্প্রতি, হাথরসের ওই কলেজের ছাত্রীদের কিছু আপত্তিকর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা এই ভিডিয়ো ছড়াল, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে ভিডিয়োগুলি সমাজমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যাপারেও উদ্যোগী তারা।