(বাঁ দিকে) হত জওয়ান প্রীতপালের স্ত্রী মনপ্রীত কউর। ল্যান্সনায়েক প্রীতপাল সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ল্যান্সনায়েক প্রীতপাল সিংহের। পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা প্রীতপাল বিয়ে করেছিলেন পাঁচ মাস আগে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দিশাহারা নববধূ। দিশাহারা গোটা পরিবার। স্ত্রী মনপ্রীত কউর জানিয়েছেন, এ মাসের শেষের দিকে বাড়িতে আসার কথা ছিল প্রীতপালের। এক সঙ্গে দিওয়ালি উদ্যাপনেরও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
প্রীতপালের দাদা হরপ্রীত সিংহ এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা দারিদ্র দেখেছেন। সংসারে অভাব-অনটন দেখেছেন। দ্বাদশ পাশ করার পর সেনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রীতপাল। তার পর থেকেই পরিবারের একটু একটু উন্নতি হচ্ছিল। হরপ্রীতের কথায়, ‘‘পরিবারকে ভাল রাখতে গিয়ে ওর প্রাণ গেল।’’ রবিবার প্রীতপালের শেষকৃত্য হবে তাঁর গ্রাম মনুপুরে।
প্রীতপালের দাদা বলেন, ‘‘ঘরে ভাইয়ের সদ্যবিবাহিত স্ত্রী। গত ফেব্রুয়ারিতেই বিয়ে হয়েছিল। ওর স্ত্রীকে কী বলে সান্ত্বনা দেব ভেবে পাচ্ছি না। সংসারে অনেক অভাব-অনটন দেখেছি। বাবা দিনমজুরের কাজ করত। সেনায় চাকরি শুরু করার পর থেকে পরিবারের হাল ধরেছিল ভাই। পরিবারকে ভাল রাখতে গিয়েই ওর প্রাণ গেল।’’ হরপ্রীত জানিয়েছেন, তাঁর বাবা হরবংশ সিংহ মুখের ক্যানসারে ভুগছেন। প্রীতপালের ইচ্ছা ছিল বাবাকে সুস্থ করে তুলবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল।
গত ন’দিন ধরে কুলগাঁওয়ের অখল জঙ্গলে জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে সেনা। গভীর জঙ্গলে সেনা এবং জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। শুক্রবার সেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় প্রীতপাল এবং হিমাচলের মন্ডীর যুবক সেপাই হরমিন্দর সিংহের। ২০১৫ সালে সেনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রীতপাল। তাঁর দাদা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। তখন জানিয়েছিলেন জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে। খুব শীঘ্রই জঙ্গিদের খতম করা হবে। তার পরই খবর প্রীতপালের মৃত্যুর খবর আসে।