ধস নেমেছে কেদারনাথের রাস্তায়। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে। তার জেরে শনিবার সিরোবগাদে বদ্রীনাথ-হৃষীকেশ জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। ওই পথেই যেতে হয় বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, হেমকুণ্ড সাহিব। ধস নামার কারণে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। পথেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফে জেসিবি যন্ত্র আনা হয়েছে। সেগুলি নিয়ে রাস্তা থেকে ভগ্নস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। তবে কেদারনাথগামী যাত্রীদের বার বার সতর্কও করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। শনিবার সকালে বদ্রীনাথ-হৃষীকেশ জাতীয় সড়কে ধস নামার কারণে বন্ধ রয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। শ্রীনগর পাউরি গাঢ়োয়াল জেলা সার্কল অফিসার (সিও) অনুজ কুমার জানান, বন্ধ সড়কের দুই প্রান্তে রক্ষী মোতায়েন রয়েছে। কেউ যাতে ভেঙে পড়া সড়কে প্রবেশ না করেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা। এখন দ্রুত ভগ্নস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। তবে ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। নতুন করে ধস নামছে জাতীয় সড়কের বেশ কিছু অংশে। চামোলি পুলিশ সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে, নন্দপ্রয়াগ, ভানেরোপানির কাছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। ফলে কেদারনাথ যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন যে পর্যটকেরা, তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।
শুক্রবার সোনপ্রয়াগ-মানকাটিয়া সড়কেও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে বিপদ হতে পারে আশঙ্কা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এই রাস্তা দিয়েই কেদারনাথ যাত্রা শুরু হয়। সুরক্ষার খাতিরে কেদারনাথ যাত্রীদের এখন রাখা হয়েছে সোনপ্রয়াগ, গৌরীকুণ্ডে। রুদ্রপ্রয়াগ পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর পরেই যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে সড়ক। তবে পর্যটকদের বার বার সতর্ক করেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। আবহাওয়ার গতিবিধির উপরেও নজর রাখছে তারা।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রুদ্রপ্রয়াগে অলকানন্দা নদীতে পড়ে গিয়েছিল বাস। এখন পর্যন্ত চার জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি নিখোঁজদের উদ্ধারের কাজ শনিবারও চলছে।