Hemant Soren

সুপ্রিম কোর্ট আর্জি নাকচ করতেই সক্রিয় হল বিশেষ আদালত, পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে হেমন্ত সোরেন

শুক্রবার সকালেই হেমন্ত সোরেনের করা মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপ করার আর্জি নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটি ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৪
Share:

হেমন্ত সোরেন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আদালতের কাছ থেকে কোনও সুরাহা পেলেন না ঝাড়খণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালত শুক্রবার জেএমএম নেতাকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ দিনই সকালে হেমন্তের করা মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপ করার আর্জি নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটি ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হেমন্তকে আগে হাই কোর্টে আবেদন জানাতে হবে। উচ্চ আদালতের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করবে না সুপ্রিম কোর্ট। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সকালে রাঁচীর বিশেষ আদালতে তাঁকে হাজির করায় ইডি। হেমন্তকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালত সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। শুধু জানায়, বৃহস্পতিবার জেল হেফাজতে রাখা হোক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তার মধ্যে গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিবু সোরেনের পুত্র। শুক্রবার বিশেষ আদালত জানিয়ে দিল, হেমন্তকে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে ইডি।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মামলাটি শোনার জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। এ ছাড়া, ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী।

Advertisement

জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে। ৬০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে বুধবার দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জানায়, বিধানসভায় হেমন্তের বদলে তাঁরা দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত করছেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে। শুক্রবার দুপুরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন চম্পই।

গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে সেখান থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি। আবেদনে ইডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন হেমন্ত। তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্যই তাঁকে গ্রেফতারির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন