একা চলেই শক্তি বাড়াতে চায় শিবসেনা

বিজেপির ‘দাদাগিরি’র কবল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের শক্তি বাড়ানোই লক্ষ্য। কিন্তু সে জন্য বিহার ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে শিবসেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৩৮
Share:

বিজেপির ‘দাদাগিরি’র কবল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের শক্তি বাড়ানোই লক্ষ্য। কিন্তু সে জন্য বিহার ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে শিবসেনা।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করেছে। মুম্বইতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বয়কট করেই উদ্ধব ঠাকরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শিবসেনা কী মনোভাব নিয়ে চলতে চাইছে। তারপরই গুলাম আলিকে বয়কট করা ও সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি লেপার ঘটনা ঘটিয়েছে শিবসেনা। বিজেপি নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে গত কালও শিবসেনা নরেন্দ্র মোদীর ‘পরিচয়’ গুজরাত দাঙ্গা বলে মন্তব্য করেছিল। এ বারে কল্যান পুরসভার নির্বাচনেও আলাদা লড়বার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপির এই শরিক দল। কিন্তু এখনই মহারাষ্ট্র সরকার থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল না তারা।

শিবসেনা সূত্রের মতে, বিহার ভোটের ফল দেখে জোটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায় দল। বিহারেও দেড়শোটি আসনে লড়ছে শিবসেনা। কিন্তু সেখানে কোনও আশা নেই তাদের। কিন্তু বিজেপি যদি খারাপ ফল করে কিংবা মোদী-হাওয়া ফিকে হয়, সেটি শিবসেনার পক্ষে অনুকূল। তাহলে বিজেপির যে প্রকাশ্য বিরোধিতা তারা শুরু করেছে, সেটি আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যাবে। শিবসেনার এক নেতার কথায়, ‘‘উদ্ধব ঠাকরের লক্ষ্যই হল, বিজেপির দাদাগিরি খতম করে একার শক্তিতে রাজ্যের হারানো জমি ফেরত পাওয়া। আর সেটি প্রমাণের মঞ্চ হল পুরসভার নির্বাচন।’’ কল্যানের নির্বাচনের পর মুম্বই পুরসভার ভোটও আসছে বছর দুয়েকের মাথায়। সেখানে বিজেপির শক্তি কম। শিবসেনা চাইছে না, লোকসভা বা বিধানসভার মতো বিজেপি সেখানেও নিজেদের দাপট দেখাক। তাই এখন থেকেই নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে তারা।

Advertisement

কল্যান পুরসভায় কেন জোট ভেঙে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে?

মহারাষ্ট্র বিজেপির এক নেতার মতে, আসলে শিবসেনা চাইছে গত বারের আসন বণ্টনের ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হোক। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়। এর পর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেখানে এত বছরের শিবসেনার একাধিপত্য ছাপিয়ে পয়লা নম্বরে এসেছে বিজেপি। ফলে শিবসেনার এই দাবি এখন মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

উদ্ধব ঠাকরে এখন দেখছেন, গত নির্বাচনে তাঁর ভাই রাজ ঠাকরের শক্তি শেষ হয়েছে। বাল ঠাকরের সময়কার সংগঠনকে তিনি অনেকটাই ধরে রাখতে পেরেছেন। এই অবস্থায় নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে হলে বিজেপিরই বিরোধিতা করে এগোতে হবে। গুলাম আলি বা সুধীন্দ্র কুলকার্নির ঘটনা সেই কৌশলেরই অঙ্গ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement