হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। ছবি: পিটিআই।
দুর্যোগ থামার লক্ষণ নেই হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলিতে। উত্তরাখণ্ড তো বটেই, হিমাচলেও মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান আর ধসে বিধ্বস্ত। হিমাচলের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, বর্ষার মরসুমের শুরু থেকে অর্থাৎ গত ২০ জুন থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রাজ্যে বৃষ্টি, ধস, হড়পা বান এবং দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৪২৭ জনের।
৪২৭ জনের মধ্যে বর্ষা এবং বৃষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৪৩ জনের। এই সময়ের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮৪ জনের। প্রাণহানির পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’টি জাতীয় সড়ক-সহ ৩৯৪টি রাস্তা বন্ধ রাজ্য জুড়ে।
বহু গ্রামীণ এবং মফস্সল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, ৬৫১টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। ১০১২টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষিজমি, ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুলু, মন্ডী এবং শিমলা। রাজ্য প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ বছর বর্ষার মরসুমে হিমাচল যে দুর্যোগের সাক্ষী রইল, তা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি।’’