কান্তা দেবী। ছবি: সংগৃহীত।
বুকে জড়িয়ে ধরা দুই শিশুসন্তান। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ওই অবস্থাতেই এক মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হল। বুধবার রাতে উত্তরাখণ্ডের নন্দানগরেক ফালী গ্রামে নেমে আসে হড়পা বান। তখন গোটা গ্রাম ঘুমিয়ে। সেই অবস্থাতেই গ্রামের প্রায় একাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। ভেসে যায় বেশ কিছু বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে চাপ পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে কান্তা দেবী এবং তাঁর দুই সন্তান।
দুর্যোগের তিন দিন পর কান্তা দেবী এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুই সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছিলেন কান্তা দেবী। কিন্তু দুর্যোগের হাত থেকে সন্তানদের বাঁচাতে পারেননি তিনি। নিজেও বাঁচেননি। ওই অবস্থাতেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান। এই দৃশ্য গোটা গ্রামকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, কান্তা দেবী এবং তাঁর দুই সন্তানের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন কান্তা দেবীর স্বামী। দুর্যোগের ১৬ ঘণ্টা পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ আটকে আছে কি না তার খোঁজ এখনও চলছে। সেই খোঁজ চালানোর সময় শনিবার কান্তা দেবী এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, কান্তা দেবীর যমজ সন্তান। দু’জনেই চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার যখন হড়পা বান নেমে আসে ফালী গ্রামে, তখন বাড়িতে ছিলেন কান্তা দেবী, তাঁর দুই সন্তান এবং স্বামী কুঁয়ার সিংহ। চার জনেই চাপা পড়ে যান ধ্বংসস্তূপের নীচে। শুক্রবারও পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।