Himachal Pradesh Cloudburst

শিমলা-সহ হিমাচলের পাঁচ জেলায় হড়পা বানের সতর্কতা! কুল্লুতে আটকে ২০০০ পর্যটক, জাতীয় সড়ক-সহ ১৭১টি রাস্তা বন্ধ

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ধস এবং বৃষ্টির কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রাজ্যের ১৭১টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে পর্যটকদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১২:৪০
Share:

হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুল্লু। ছবি: পিটিআই।

মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হিমাচলের বেশ কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। পাশাপাশি চম্বা, কাংড়া, মন্ডী, শিমলা এবং সিরমৌর জেলায় হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৬ এবং ২৭ জুন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তার পর থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। বুধবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পালমপুরে (১৪৫ মিলিমিটার)। তার পর নাহন (৯৯ মিমি), পাওন্টা সাহিব (৫৮ মিমি), ধর্মশালা (৫৪ মিমি), কাংড়া (৪৪ মিমি), নারকন্ডা (৪০ মিমি) কসৌলী (২২ মিমি), মন্ডী (১৬ মিমি) এবং শিমলায় ১৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গাতেই ধস নেমেছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ধস এবং বৃষ্টির কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রাজ্যের ১৭১টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে পর্যটকদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। দুর্যোগের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার কুল্লু জেলার তিন জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তার জেরে হড়পা বান নেমে আসে। অন্য দিকে, কাংড়াতেও মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তার জেরে দুই জেলায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডব চলে। দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ১৫-২০ জন হড়পা বানে ভেসে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বঞ্জারের হরনাগঢ়ে একটি সেতু ভেসে গিয়েছে। ধস নেমেছে বঞ্জার-বঠাহড় রাস্তায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলুর সৈঞ্জ উপত্যকার শনষর, শানগঢ় এবং সুচাইহনে প্রায় ২০০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। অন্য দিকে, লাহুলেও বেশ কিছু পর্যটক আটকে থাকার খবর জানা গিয়েছে।

Advertisement

হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৈঞ্জের জীবানালা, গডসার শিলাগঢ়, মনালীর কাছে স্নো গ্যালারি, বঞ্জারের হরনাগঢ়, ধর্মশালার খনিয়ারা। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement