বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে অলকানন্দা নদীতে উল্টে পড়ে বাস। চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে অলকানন্দা নদীতে উল্টে পড়ল বাস! বৃহস্পতিবার সকালের ওই দুর্ঘটনায় অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ৮ জন যাত্রীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের সদর দফতর থেকে আইজি নীলেশ আনন্দ ভারানে জানান, রূদ্রপ্রয়াগের ঘোলতির এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বাসটিতে ১৮ জন সওয়ার ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাও পৌঁছেছেন দুর্ঘটনাস্থলে। নদী থেকে উদ্ধারকাজও শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাত জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকিদের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গাড়োয়ালের বিভাগীয় কমিশনার বিজয়শঙ্কর পাণ্ডে। বাসটিতে ১৮ জনের বসার জায়গা ছিল বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তায়। বাসটি পাহাড়ি রাস্তা ধরে উপরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পাহাড়ের ঢালে মানববন্ধন করে আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে অলকানন্দা নদীর খরস্রোতের কারণে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধারকাজে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বাসটিতে বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা ছিলেন। উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব বিনোদকুমার সুমন জানান, বাসটিতে রাজস্থানের সাত জন, গুজরাতের সাত জন, মধ্যপ্রদেশের তিন জন এবং মহারাষ্ট্রের দু’জন বাসিন্দা ছিলেন। বাসের চালকের বাড়ি হরিদ্বারে।
নদীর খরস্রোত বাসযাত্রীদের দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি বাঁধের কাছে নদীর জলে নজরদারি শুরু করেছে রাজ্য় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
গত সপ্তাহেও উত্তরাখণ্ডের মণ্ডীতে একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ২০০ ফুট গভীর খাদে গিয়ে পড়েছিল বাসটি। জহু থেকে মণ্ডীর উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন আরও ১৮ জন। এ বার ফের উত্তরাখণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি বাস।