সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ কম্যান্ডার আব্দুল কায়ুম। ছবি: সেনাবাহিনীর সৌজন্যে।
উপত্যকায় জঙ্গি দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল সেনা। উরিতে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ কম্যান্ডার আব্দুল কায়ুম নজর ওরফে ইশফাক। কুপওয়ারার আবার কেরন সেক্টরে জঙ্গিদের একটি বড় দলের অনুপ্রবেশ রুখেছে সেনা।
সেনা জানিয়েছে, আদতে সোপোরের বাসিন্দা আব্দুল কায়ুম ১৯৯৯ সালে হিজবুলে যোগ দেয়। কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচেছিল সে-ই। নিরাপত্তাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে একাধিক হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল আব্দুল। ২০১৫ সালে কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি মোবাইল টাওয়ারের উপরে হামলা হয়। সেই ঘটনার পিছনেও হাত ছিল আব্দুলের। তাতে কয়েক জন হুরিয়ত সমর্থকও নিহত হয়। ফলে হুরিয়ত ও হিজবুলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর হয় আব্দুলের। সমস্যা মেটাতে তাকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে হিজবুলের সদর দফতরে ডেকে পাঠায় জঙ্গি নেতৃত্ব। তারপরে আর তাকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়নি বলেই মত সেনা গোয়েন্দাদের। সম্প্রতি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় দুই হিজবুল কম্যান্ডার পারভেজ ওয়ানি ও ইয়াসিন ইয়াট্টু। সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, এরপরে হিজবুলের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি সামলাতে আব্দুলকে কাশ্মীরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন ও জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিল’-এর অন্য নেতারা।
বাহিনীর দাবি, আব্দুল যে ফের কাশ্মীরে আসার চেষ্টা করছে তা জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। আজ নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরির জোরাবর পোস্টে আব্দুলকে চ্যালেঞ্জ করে সেনা। সংঘর্ষে খতম হয় ওই জঙ্গি নেতা।
আজ সকালে কুপওয়ারার কেরন সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে এক দল জঙ্গি। গুলিবর্ষণ করে তাদের সাহায্য করে পাক সেনা। ভারতীয় সেনার পাল্টা হামলার ফলে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।