গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর আশপাশের এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার অনতিদূরে হরিয়ানার নম্বর প্লেট থাকা একটি ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়িটি সোমবার কখন, কোথায় গিয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন দিল্লি পুলিশের কর্তারা।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ দিল্লি পুলিশের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতালের সামনে দেখা গিয়েছিল গাড়িটিকে। সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে বদরপুর টোল বুথ পেরিয়ে দিল্লিতে ঢোকে গাড়িটি। একটি পেট্রল পাম্পে থাকা সিসি ক্যামেরায় গাড়িটিকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লির ওখলা এলাকায় মোদী মিলের সামনে দেখা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং লটে ঢোকে গাড়িটি। সেখান থেকে বেরোয় সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে। ৬টা ৫২ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে যে, গাড়িটি যখন পার্কিং লট থেকে বেরোয় তখন রাস্তায় যানজট ছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, গাড়িটি ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, গাড়িটির গতিবিধির উপর নজর রাখতে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের দু’টি দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দলের দায়িত্ব ছিল গাড়িটি দিল্লি ঢোকার আগে কখন, কোথায় যাচ্ছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তা জানা। অপর দলটির দায়িত্ব ছিল, দিল্লিতে ঢোকার পর গাড়িটি কোথায় কোথায় গিয়েছে, তা দেখা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দিল্লির কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (নর্থ ডিস্ট্রিক্ট) রাজা বন্ঠিয়া বলেন, “ইউএপিএ, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এনএসজি, দিল্লি পুলিশ, ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারা সব দিক খতিয়ে দেখছে। তদন্ত চলছে।”
গাড়ির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে জনৈক মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যক্তিকে সোমবার রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটি তাঁরই নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। যদিও জানা যাচ্ছে, পুলিশি জেরায় সলমন জানিয়েছেন, তিনি গাড়িটি পুলওয়ামার এক বাসিন্দাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তবে গাড়ির নথিপত্রে এখনও নামবদল হয়নি। এ বার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ওই গাড়িটির বর্তমান ‘মালিক’ ছিলেন পুলওয়ামার এক চিকিৎসক। নাম উমর মহম্মদ।