Crime

ছ’কোটি টাকার গয়না লুটের পর চা কিনতে পেটিএমে ১০০ টাকার লেনদেন করেই পুলিশের জালে তিন যুবক

ধৃতদের থেকে ৬ হাজার ২৭০ গ্রাম সোনা, তিন কেজি রুপো, ১০৬টি হিরে ও অন্যান্য গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ছ’ কোটি টাকা। অধরা আরও এক অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৪
Share:

জয়পুর থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ছ’কোটি টাকার গয়না লুট করে চম্পট দিয়েছিলেন তিন যুবক। লুটের পর ‘পেটিএম’-এর মাধ্যমে চা কিনেছিলেন এক অভিযুক্ত। এতেই হল কাল! অনলাইনে টাকা লেনদেনের সূত্রে ধরেই তিন যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছে?

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, চণ্ডীগড়ের একটি পার্সেল সংস্থায় কর্মরত সোমবীর নামে এক ডেলিভারি যুবক বুধবার বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে তাঁর সহকর্মী জগদীপ সাইনির সঙ্গে পাহাড়গঞ্জের অফিস থেকে পার্সেল নিয়ে ডিবিজি রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। মিলেনিয়াম হোটেলের কাছে পৌঁছনোর পর তাঁরা দেখেন যে, সেখানে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশের উর্দি পরে রয়েছেন।

Advertisement

অভিযোগ, এর পরই তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হবে বলে ওই দুই যুবক সোমবীরদের পথ আটকান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরও দুই যুবক। তার পরই সোমবীরদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ব্যাগটি তাঁদের দিতে বলেন। ব্যাগটি না দিলে সোমবীরদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন অভিযুক্তরা। তার পর গয়না ভর্তি ওই ব্যাগ কেড়ে নিয়ে চম্পট দেন যুবকরা।

এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হন সোমবীর। গত বুধবার এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। গত কয়েক দিনে ৭০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা গিয়েছে, এক জন ক্যাব চালকের সঙ্গে অভিযুক্তরা কথা বলছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন চা কেনার জন্য ওই চালকের অ্যাকাউন্টে পেটিএম মারফত ১০০ টাকা দেন। আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, অভিযুক্তরা নজফগড়ের বাসিন্দা। লুটের পর তাঁরা রাজস্থানে চলে যান। তাঁদের পাকড়াও করতে জয়পুর রওনা দেয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২৭০ গ্রাম সোনা, তিন কেজি রুপো, ১০৬টি হিরে ও অন্যান্য গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ছ’ কোটি টাকা। ধৃত তিন যুবক হল নাগেশ কুমার (২৮), শিবম (২৩) ও মণীশ কুমার (২২)। বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন