Merchant Navy Officer Murder

কখনও ফুঁপিয়ে কান্না, কখনও একেবারে চুপ! খাননি খাবারও, জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল স্বামী হত্যায় অভিযুক্ত মুস্কানের

গত ৪ মার্চ স্বামী সৌরভকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুস্কান এবং প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। সৌরভকে খুনের পর তাঁর দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে তা আটকে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১০:৫৮
Share:

সৌরভ খুনে অভিযুক্ত (বাঁ দিকে) সাহিল শুক্ল এবং সৌরভের স্ত্রী মুস্কান (ডান দিকে) । —ছবি: সংগৃহীত।

মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী মুস্কান এবং প্রেমিক সাহিল শুক্লকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার থেকে দুই অভিযুক্তের নতুন ঠিকানা মেরঠের চৌধরি চরণ সিংহ জেলা কারাগার। সেই জেলেরই ১২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হয়েছে মুস্কানকে। আর ১৮ নম্বর ব্যারাকে ঠাঁই হয়েছে তাঁর প্রেমিক এবং সৌরভ খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সাহিলের।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মুস্কান এবং সাহিলকে নিয়ে আসা হয় চৌধরি চরণ সিংহ জেলা কারাগারে। জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, মুস্কান এবং তাঁর প্রেমিক সাহিলকে বুধবার সন্ধ্যায় কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে আসা হয় জেলে। তার পর মুস্কানকে মহিলা ব্যারাকে পাঠানো হয়। সাহিলকে রাখা হয়েছে পুরুষদের ব্যারাকে। জেল সুপার বলেন, ‘‘জেলে আসার পর থেকেই একেবারে চুপ হয়ে গিয়েছেন মুস্কান। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। সেলের এক কোণে বসে ছিলেন সারা রাত। শুধু তা-ই নয়, রাতে তাঁকে খাবার দেওয়া হলেও ছুঁয়েও দেখেননি তিনি।’’

জেলের একটি সূত্রের দাবি, সারা রাত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন মুস্কান। তাঁর মধ্যে একটা অস্থিরতা লক্ষ করেছিলেন বাকি বন্দিরা। কখনও বিড়বিড় করে কিছু বলছিলেন, কখনও কাঁদছিলেন। তবে জেল সুপার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

তবে সাহিল জেলে প্রথম রাত কী ভাবে কাটিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে কিছু বলেননি জেল সুপার। বুধবারই আদালত থেকে জেলে নিয়ে আসার সময় মুস্কান এবং সাহিলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে একদল আইনজীবীর বিরুদ্ধে। কোনও রকমে তাঁদের প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে মেরঠের জেলে নিয়ে আসে পুলিশ।

গত ৪ মার্চ স্বামী সৌরভকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুস্কান এবং প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। সৌরভকে খুনের পর তাঁর দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে তা আটকে দেওয়া হয়। পরে ওই ড্রাম থেকে সৌরভের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় তোলপাড় গোটা মেরঠ। মুস্কান এবং সাহিলের কঠোর শাস্তির দাবি জোরালো হচ্ছে শহরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement