অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
দেশের দরিদ্রদের জন্য ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি তো দিলেন কংগ্রেস সভাপতি। খরচ হবে কত? কংগ্রেসের ইস্তাহার তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, কত টাকা দেওয়া হবে, তার খুঁটিনাটি দলের ইস্তাহারে থাকবে। ঘটনাচক্রে, দু’বছর আগে যিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মোদী সরকারের সেই প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন (অন্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে লেখা) আজ এক নিবন্ধে প্রস্তাব দিয়েছেন, গ্রামের প্রতিটি গরিব পরিবারকে বছরে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। যার অর্থ মাসে ১,৫০০ টাকা। খরচ হবে বছরে অন্তত ২.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা— জিডিপি-র ১.৩ %।
সুব্রহ্মণ্যনের ভাবনা রূপায়ণে সরকারের সামনে সমস্যা ছিল, খরচের বোঝা। সুব্রহ্মণ্যন বলেছিলেন, আয়ের দিক থেকে উপরের সারির ২৫ শতাংশ মানুষকে বাদ দিলেও, জিডিপি-র ৪ থেকে ৫ শতাংশ অর্থ খরচ হবে। মধ্যবিত্তদের জন্য সার-জ্বালানি-খাদ্যে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে। গত বছর আইএমএফ-ও সুপারিশ করেছিল, খাদ্য-জ্বালানির ভর্তুকি তুলে দিয়ে সব মানুষকে মাসে ২৬০০ টাকা করে দেওয়া হোক। ফিনল্যান্ড এ ধরনের প্রকল্প চালু করেও বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডা, সুইৎজারল্যান্ডেও সে চেষ্টা হয়েছে। এ দেশে শুধুমাত্র গ্রামের গরিব চাষিদের চিহ্নিত করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর হিসেব কষছিল মোদী সরকার।
রাহুল এক চালে হিসেব গুলিয়ে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বে কোনও সরকার যা করেনি, ক্ষমতায় এলে তা করে দেখাবেন। তাঁর লক্ষ্য শুধু গরিবরাই। তাঁদের মডেলকে ‘প্রোগ্রেসিভ’ বলে দাবি করে কংগ্রেস বলছে, ন্যূনতম আয়ের নির্ধারিত অঙ্কের সঙ্গে যার আয়ের যতটুকু ব্যবধান, শুধু সেটাই মেটানো হবে। তাতে খরচও কম হবে।