বিবেকানন্দ রক। কন্যাকুমারী। নিজস্ব চিত্র
দিনটার মাহাত্ম্য অনেকেই মনে রেখে এসেছেন, বেশির ভাগই এসে শুনেছেন।
একশো পঁচিশ বছর আগে ১৮৯২ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর, টানা তিন দিন কন্যাকুমারীর সমুদ্র-ঘেরা শিলাখণ্ডে বসে ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন বিবেকানন্দ। সেই ঘটনার ১২৫তম বর্ষপূর্তিকে মনে রেখে বিবেকানন্দের বহু ভক্ত ‘বিবেকানন্দ রকে’। এমনিতেই বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে এখানে প্রচুর ভিড়। তার সঙ্গে দিনটির এই ঐতিহাসিক যোগাযোগ যে কোনও উৎসবের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।
বড়দিনের শীতের ছোঁয়া এই সমুদ্রোপকূলে নেই। বরং বিবেকানন্দ রকে যাওয়ার জন্য টিকিট কাউন্টারের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, কন্যাকুমারীর ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঘামতে হচ্ছে পর্যটকদের। তবে তাতে দর্শকদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি।
লঞ্চে আলাপ হল ওড়িশার বিবেকানন্দ ভক্ত অজয় মহাপাত্রের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “বিবেকানন্দের জীবনের বিশেষ বিশেষ দিনের সালতামামি আমার মুখস্থ। ছেলেকে বলছিলাম, কীভাবে আজ থেকে একশো পঁচিশ বছর আগে কন্যাকুমারীর মূল ভূখণ্ড থেকে পাঁচশো মিটার দূরের সমুদ্র সাঁতরে বিবেকানন্দ ওখানে পৌঁছন। কী অসীম সাহস সেই তরুণের! এই বিশেষ দিনটাকে মনে রেখেই আমরা সবাই এসেছি।”
আর যাঁরা না জেনেই এসেছেন, তাঁরা ১২৫তম বর্ষপূর্তির কথা জানতে পেরে রীতিমতো রোমাঞ্চিত। বেহালার বাসিন্দা এক পর্যটকের কথায়, “বিবেকানন্দ এখানে যে ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন সে কথা জানি। কিন্তু কী যোগাযোগ! ঠিক এই সময়েই এখানে এসে পৌঁছেছি, আমাদের সৌভাগ্য।’’ শুধু পর্যটকরাই নন বিবেকানন্দ রকে কর্মরত এক আধিকারিক জানালেন “পর্যটকদের অধিকাংশই রকের মে়ডিটেশন হল-এ ধ্যানে বসছেন।’’ সেই ভিড় ম্যানেজ করতে হিমসিম খাচ্ছেন তাঁরা।