মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সবে তিন দিন হল। এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আশঙ্কা প্রকাশ করল উত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এক বিবৃতিতে তাদের দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।
সংগঠনটির ভারতীয় শাখার প্রধান আকর পটেল একটি বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিতে অন্যতম নাম যোগী আদিত্যনাথ। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক উক্তি ও বিভাজনের রাজনীতি করে এসেছেন তিনি।’’ এখানেই না থেমে বলা হয়েছে, ‘‘আদিত্যনাথের নীতি যেন সরকারের নীতি না হয়। ভারতের সব থেকে জনবহুল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটা নিশ্চিত করা তাঁর এবং তাঁর দলের দায়িত্ব।’’
বিশ্বের অন্যতম বড় মানবাধিকার সংগঠনের এই বিবৃতিতে বিজেপি নেতৃত্ব খানিকটা অস্বস্তিতে পড়লেও দলের তরফে ঘরোয়া ভাবে বলা হচ্ছে এই বিবৃতি পক্ষপাতদুষ্ট। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের মারধর, সম্পত্তি লুঠের সময় এরা কোথায় ছিল?’’
উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানালেও যোগী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সমালোচনার সুর পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে। তবে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি কোনও দেশ। রাজনীতির লোকজন বলছেন, বারাক ওবামার জমানা হলে অন্য কথা ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প বা আমেরিকার রিপাবলিকান সরকার অন্য দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামায় না। পশ্চিম দুনিয়ার চোখে উত্তরপ্রদেশে তেমন বিনিয়োগ-সম্ভাবনাও নেই আপাতত।