যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ। ফাইল চিত্র।
তদন্ত যত এগোচ্ছে দিল্লির অভিযুক্ত ‘বাবা’ স্বামী চৈতন্যানন্দের নানা কীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। সমাজমাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবিতে নানা রকম মন্তব্য, দ্বৈত অর্থে চ্যাটিং করতেন। ‘বাবা’র এ রকম কয়েকশো হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করল পুলিশ। যা দেখে তদন্তকারীরাও স্তম্ভিত।
মহিলাদের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে কী ভাবে কথোপকথন চালাতেন ‘বাবা’, তার বেশ কিছু স্ক্রিনশটও সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। যদিও এগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। সেখানে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে মহিলাদের সঙ্গে ‘ফ্লার্ট’ করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এমন কিছু হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাটও উদ্ধার হয়েছে যেগুলি অশ্লীল। ঘটনাচক্রে, বসন্ত কুঞ্জে ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রীরাও দাবি করেছিলেন যে, কথোপকথনের মধ্যে নানা রকম কু-ইঙ্গিত থাকত চৈতন্যানন্দের। সেই সূত্রে ধরেই ‘বাবা’র সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইসগুলি ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সেই ডিভাইসগুলি ঘেঁটে দেখার সময় মহিলাদের সঙ্গে কথোপকথনের বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেগুলিই এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
দু’দিন আগেই ‘বাবা’র তিন মহিলা সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁরাই ছাত্রীদের চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে ‘বাবা’র প্রস্তাব মানতে বাধ্য করাতেন। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন জোর করে মুছে দিতে বাধ্য করাতেন। এমনকি প্রমাণ লোপাটও করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আধ্যাত্মের পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে মূলত কমবয়সি মেয়েদের নিশানা বানাতেন ‘বাবা’। তাঁর ফোন থেকে বিমানসেবিকাদের ছবি, বহু মহিলার প্রোফাইল ছবির স্ক্রিনশট উদ্ধার হয়েছে। আর সেই সব ছবি দেখেই পুলিশের সন্দেহ ‘বাবা’র নিশানা ছিল মূলত অল্পবয়সি মেয়েরা।